ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কমপক্ষে সাড়ে ৪ হাজার কৃষকের পাকা ধানে মই দিয়েছে টানা বৃষ্টি। কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের জমিতে পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কোথাও আবার পাকা ধান গাছ কাদামাটির সঙ্গে লেপ্টে গেছে। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসলের এমন দৃশ্যে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

জানা গেছে, এ উপজেলার কৃষক দেরীতে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছন। ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ জমির ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। এরপরও প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষকরে কমপক্ষে ১৮০ হেক্টর জমির ধান মাঠে পড়ে আছে। ঘূর্ণীঝড় আম্ফানের শুরু থেকে কয়েক দিনের দিনের বর্ষণে নিম্নাঞ্চল নিমজ্জিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে কৃষকের পাকা বোরো ধানের ক্ষেত। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে বোরো ধান চাষীরা।

সরেজমিন উপজেলার মথুরাপুর, খাদুলী, চৌকিবাড়ী, বেলকুচি, চান্দিয়ার, গোপালনগর ও ভান্ডারবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বোরো ধান কাটার শেষমুহূর্তে ভারী বর্ষণে নিমজ্জিত হয়ে গেছে মাঠ। এতে নিম্নাঞ্চলের পাকা বোরো ধান ক্ষেতগুলো এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ঝড় ও ভারী বর্ষণে অপরিপক্ক আম ও লিচু ঝরে পড়েছে।

উপজেলার খাদুলী গ্রামের কৃষক ফজলার রহমান বলেন, কয়েকদিন পরে বোরো ধান কাটার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সময়মতো ধান কাটতে পারিনি। এরই মধ্যে ভারী বর্ষণে তার পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে ধান কেটে কলার ভেলায় বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। একই অবস্থা মথুপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের। তিনি দুইদিন থেকে ধান কাটা শুরু করেছেন কিন্তু ভারী বর্ষণের কারণে ধান কাটা শেষ করতে পারেননি। ফলে দুদিনের বৃষ্টিতে তার ধানক্ষেতও তলিয়ে গেছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিদুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০ হাজার কৃষক ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। এরমধ্যে ৯০ শাতংশ জমির ধান কাটা মাড়াই শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় আম্ফানের প্রভাব ও অবিরাম বর্ষণে নিম্নাঞ্চলের ১৮০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ