প্রাক্তন প্রেমিকার চিঠির ওপর প্রেমিকের মাস্টারি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: অ্যামেরিকায় এক কলেজ-ছাত্রের প্রাক্তন প্রেমিকা তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে তার কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটি ছিলো চার পাতার।

ছেলেটি তখন লাল কালি দিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখার মতো করে ওই চিঠির কিছু ‘ভুল-ত্রুটি’ চিহ্নিত করে সেটি ফেরত পাঠিয়েছেন তার সাবেক প্রেমিকার কাছে।

শুধু ‘ভুল ত্রুটি’ চিহ্নিত করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, ওই চিঠির জন্যে তিনি তাকে নম্বরও দিয়েছেন।

চিঠিটি পাওয়ার পর নিক লুটজ নামের ছেলেটি সেটি ছুঁড়ে ফেলেন নি। বরং লাল কালির একটি মার্কার দিয়ে তিনি সেটিকে সমালোচনার চোখে দেখার সিদ্ধান্ত নেন- চিঠির বিভিন্ন জায়গায় দাগ দেন এবং নানা রকমের মন্তব্য করেন।

চিঠিটির জন্যে ছেলেটি ১০০তে ৬১ নম্বর দিয়েছেন মেয়েটিকে। এবং মেয়েটির চেষ্টার জন্যে তাকে দিয়েছেন ডি গ্রেড।

চার পাতার চিঠির শেষে ছেলেটি লাল কালি দিয়ে মন্তব্য করেছেন, “দীর্ঘ ভূমিকা। ছোট উপসংহার, জোরালো যুক্তিতর্ক কিন্তু সেসব প্রমাণ করার জন্যে কিছু নেই। বিস্তারিত লেখা গুরুত্বপূর্ণ।”

চিঠির একেবারে শুরুতেই ছেলেটি লিখেছেন যে ভূমিকা খুব বেশি লম্বা হয়ে গেছে এবং সেখানে বহু পুনরাবৃত্তিও ঘটেছে।

মেয়েটি চিঠির এক জায়গায় ব্যাখ্যা করেছেন কেন এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সেই জায়গায় লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে নিক লিখেছেন যে তার সাবেক বান্ধবীর উচিত ছিলো এর পেছনে কারণ তুলে ধরা।

ছেলেটি আরো লিখেছেন, “এসব কথা প্রমাণ করার দরকার ছিলো। যেমন তিনি বলতে পারতেন যে তিনি কখনোই তার সাথে প্রতারণা করেন নি।”

চিঠির অনেক জায়গায় ভুল বানানকেও তিনি দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন।

সাবেক প্রেমিকা এক জায়গায় লিখেছেন, “কিছু লুকানোর বা মিথ্যা বলার কোন কারণ নেই।” সেখানে ছেলেটি মার্জিনের একপাশে মন্তব্য করেছেন, “মিথ্যা বলার যদি কোন কারণ না থাকে তাহলে কেন সত্যটা বলা হচ্ছে না?”

চিঠির শেষের দিকের হাতের লেখারও সমালোচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন, “মনে হয় “ক্লান্ত হাতে লেখা।”

 

শেষ পাতায়, চিঠির একেবারে শেষে মেয়েটি যখন লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, তখন ছেলেটি সেখানে লাল কালি দিয়ে একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন।

লিখেছেন, “যদি এটা বিশ্বাস করতে বলো তাহলে সেটা প্রমাণ করো।”

এই চিঠি ও নোট নিক পরে টুইটারে প্রকাশ করলে এনিয়ে প্রচুর কথাবার্তা শুরু হয়।

তখন আরো অনেকেই এনিয়ে টুইট করতে শুরু করেন এবং তারাও তখন অন্যান্য ভুলত্রুটি খুঁজে বের করতে শুরু করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা