প্রতিক্ষার প্রহর শেষে সাপাহারে আম কেনা-বেচা শুরু

সাপাহার প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রহর শেষে আম বিক্রি করতে পেরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম চাষীদের মুখে এখন সোনালী হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করে অপরিপক্ক আম পাকিয়ে অতিতে বাজারে বিক্রি করে অনেক মুনাফা অর্জন করলেও এবারে সরকারের বেধে দেয়া নিয়মনীতি অনুসারে একটু পরে হলেও এখন বাজারে পুর্ণ পরিপক্ক আম এসেছে।

দেশের বৃহত্তম আমের বাজার চাঁপাই নবাবগঞ্জের পর ২৯মে হতে নওগাঁর সাপাহারে আম কেনা বেচার কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার হতে বাজারে আম কেনা বেচার কথা শুনে অনেক বাগান মালিক দু তিন দিন পূর্ব হতেই বাগানে বাগানে আম ভাঙ্গার কাজে লেগে পড়েছেন। সোমবার প্রথম বাগানের আম তারা বাজার জাত করতে পেরে বেশ খুশি হয়েছেন। আম কেনা বেচার বিষয়টি কয়েকদিন পূর্বেই জানা জানি হলে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারীগণ আমের আড়তে আড়তে অবস্থান নিয়েছেন আম কিনতে। আম বিক্রি শুরু হতে না হতেই আমবাজার বা আড়ত এলাকা ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। শুরুতেই আমের বাজার প্রাণ পেপসি ও জুসের জন্য ৬শ’থেকে ৭শ’টাকা , গুটি আম ১২শ’ ও গোপালভোগ আম ১৫শ’ থেকে ১৬শ’টাকা মন দরে কেনা-বেচা চলছে।
বিভিন্ন বাগান মালিক ও আড়তদার গণের সাথে কথা হলে  তারা জানান, খিরশাপাত, হিমসাগর, ক্ষুদি খিরসা, লেংড়া আম বাজারে আসতে আরোও দু’তিন সপ্তাহ লেগে যাবে। এ ছাড়া ফজলী, আ¤্রপলী, আশ্বিনা সহ আরো বেশ কয়েক জাতের আম প্রায় রোজার শেষে বাজারে আসবে বলেও বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীগন জানিয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তা এ এফ এম গোলাম ফারুক এবং একাধীক বাগান মালিক ও আম ব্যবসায়ীগণ জানান, উপজেলায় প্রায় ১৫হাজার হেঃ জমিতে লাগানো বাগানে প্রায় ১৩ লক্ষ গাছ, সে হিসেবে প্রায় দেড় লক্ষ টন আম উৎপাদন হতে পারে এবং ঐসব বাগান হতে প্রায় ৭শ’থেকে ৮শ’ কোটি টাকার আর্থিক লেন দেন হবে বলে আশা করছেন।

স/অ