প্রণোদনা ঘোষণায় রেমিটেন্সের ঢেউ

চলমান করোনা সঙ্কটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে যা দেশের ইতিহাসে এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স।

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে), যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। গতবছরের সেপ্টেম্বরে ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিটেন্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিটেন্স এসেছিল ৪৫২ কোটি ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এদিকে রেমিটেন্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও দেখা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, গত অর্থবছর রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরেও রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময় প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। সে হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।