প্রচারণার শেষ দিন: অভিযোগ নেই আইভীর, ‘শঙ্কিত’ সাখাওয়াত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনেও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। অপরদিকে ‘কোনও অভিযোগ নেই’ জানিয়ে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

 

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গণসংযোগের সময় সাখাওয়াত ও আইভী এসব কথা বলেন।

 

নাসিক নির্বাচনের ভোট হবে আগামী বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর। বিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা করা যাবে। তবে সোমবার রাত ১২টার পর থেকে সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরের কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার দুই দলের কোনও কেন্দ্রীয় নেতাকে নারায়ণগঞ্জ দেখা যায়নি।

 

বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান সকালে শহরের মাসদাইরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় সভা করেন। পরে তিনি তৈমূর, নগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেলসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহরের ১৭নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া, জল্লারপাড় এলাকায় গণসংযোগ করেন।

 

সাখাওয়াত অভিযোগ করেন, ‘সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমি শঙ্কায় আছি। নির্বাচনের শুরু থেকেই আমি সেনা মোতায়েন চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। এ কারণেই লোকজনের মধ্যেও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আর সরকারও চাচ্ছে না সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হোক। সরকারের অবস্থান ও ভাবমূর্তি সকালেই বোঝা যাবে। তার পরেও আমি চাই সুষ্ঠু ভোট হোক। কারণ মানুষ ধানের শীষকে ভোট দিতে পাগল হয়ে গেছে। লোকজন ধানের শীষকেই ভোটে পাস করাবে। কিন্তু এটা বুঝতে পেরেই সরকার ষড়যন্ত্র করছে।’

 

এদিকে মঙ্গলবার শেষ দিনের প্রচারণায় সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ১৭নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রচারণার শেষ দিন আজ। আর কারও অভিযোগ শুনবো না। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করবো না। আমিও চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। ভোটাররা যাতে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। তাদের জন্য সব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে সেটা এখন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ভোটারদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চাই।’

 

সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাসা ১৬নং ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বাসার গেট থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। পরে তিনি ১৬নং ওয়ার্ডের দেওভোগ এলএন রোড, নিহত দিদারুল ইসলাম চঞ্চলদের বাড়ি, দেওভোগ আখড়া মোড়, নতুন পালপাড়া মোড়, কাঠের দোতালা, দেওভোগ পাকারোড বড় মসজিদ, পুরাতন দেওভোগ পাকা রোড, খানকা রোড. জামাল উদ্দিন সড়ক, গার্মেন্টস গলিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নিজ বাড়িতে এসে গণসংযোগ শেষ করেন।

 

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন