প্রকৌশলী দেলোয়ার হত্যা : ২ জনের দায় স্বীকার, সহকর্মী রিমান্ডে

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৭) নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন (৫০) হত্যা মামলায় তার সহকর্মী সহকারী প্রকৌশলী সেলিম হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও দেলোয়ার হোসেনকে বহনকারী সিটি করপোরেশনের গাড়িচালক হাবিব ও কিলার শাহিন হাওলাদার ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) তাদের তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তুরাগ থানা পুলিশে। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সহকর্মী সহকারী প্রকৌশলী সেলিম হোসেনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার পরিদর্শক (অভিযান) শেখ মফিজুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়াও গাড়ির চালক হাবিব ও কিলার শাহিন ঘটনার দায় স্বীকার করে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আসামি হাবিবের ও ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান আসামি শাহিনের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে মামলার সাক্ষী হিসাবে রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হন প্রকৌশলী দেলোয়ার। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রিজের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গল থেকে দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোদেজা আক্তার তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তুরাগ থানা মামলা নম্বর ৬ (৫) ২০।