পুলিশকর্মীর মৃত্যু, প্রভুর শোকে খাওয়া ভুলেছে থানার উট

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গত ২৪ জানুয়ারি সকালে নিয়ম মতোই থানার উটটিকে নিয়ে ডিউটিতে বেরোন গাধভি। সীমান্তের কাছে পৌঁছে প্রথমে উটটিকে খাওয়ান তিনি। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ওই পুলিশকর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে ভুজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু বুকে ব্যথা আরও তীব্র হওয়ায় মাঝপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করতে হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশকর্মীর।

কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীর মৃত্যু হওয়ায় পূর্ণ পুলিশি মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা হয়। গোটা গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। সবার অলক্ষ্যে গাধভির অনুপস্থিতিতে মনমরা হয়ে তাঁর সঙ্গী উটটিও। গাধভির মৃত্যুর পর থেকেই খাবার বা জল, কোনওটাই মুখে তুলছে না সে। দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে রীতিমতো দুর্বল হয়ে পড়েছে উটটি। থানার পুলিশকর্মীরা চেষ্টা করছেন, কোনওভাবে যদি উটটিকে কিছু খাওয়ানো যায়।

প্রভুভক্তি বোধ হয় একেই বলে। তাই রোজ যিনি হাতে করে খাওয়াতেন, পিঠে চেপে ঘুরতেন, তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে খাওয়াদাওয়াই ছেড়ে দিল একটি উট।

মনকে নাড়িয়ে দিয়ে যাওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের কচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, কচ্ছের জাখাউ থানার অধীনে থাকা একটি উট এক পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে খাবার এবং জল, কিছুই মুখে তুলছে না।

থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কর্তব্যরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শিবরাজ গাধভি নামে ওই পুলিশকর্মীরা। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত গাধভি থানার একটি উটে চেপেই সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারির কাজ চালাতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাই-অ্যালার্ট জারি হওয়ায় আরও কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন ওই পুলিশকর্মী।