পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ৫০ উর্ধ্ব বয়সের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত এ ব্যপারে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর সংলগ্ন মৃধাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিশু ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। শিশুটির মা তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দরিদ্র ভ্যানচালক বাবার সামান্য আয়ে তাদের সংসার চলে।
স্থানীদের হাতে আটক ব্যাক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক (৫০)। তিনি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিমভাগ গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা ১২ টার দিকে ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় আবদুর রাজ্জাককে হাতেনাতে আটক করে। পরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ মোতালেবসহ কয়েকজন তাকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এনে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসে ঘটনাটি শুনে কয়েকজন চৌকিদার দ্বারা ভিকটিম ও আটক ব্যক্তিকে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।
শিশুটির বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান জানান, চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে লম্পট আবদুর রাজ্জাক শিশুটিকে একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে পরনের পায়জামা খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির চিৎকারে বাজারের লোকজন গিয়ে তাদের আটক করে পরিষদে নিয়ে আসে। পরে ঘটনা শোনার পর তিনি তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ব্যপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মুহিনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজনকে আটক করে ভিকটিমসহ পুলিশের হাতে দিয়েছে স্থানীয়রা। তবে এ ব্যপারে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত ভিকটিমের পরিবার থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
