নতুনত্বের ছোঁয়ায় পুঠিয়ার রাজবাড়ি

আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে রাজশাহীর পুঠিয়ার রাজবাড়ি।                                                                          ছবি: মুনতাসীর মারুফ

হালিমা আকতার :
রাজশাহীর জেলার ঐতিহ্যবহনকারী নিদর্শনগুলোর মধ্যে পুঠিয়া রাজবাড়ি অন্যতম। পুঠিয়া রাজবাড়ি এখন জাদুঘর নামে ও পরিচিত। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে পুঠিয়া রাজবাড়িটি জাদুঘর হিসাবে চালু করা হয়। রাজবাড়িটি সংস্কারনের কারনে নতুনত্বের ছোঁয়ায় দর্শনার্থীদের ভ্রমণের চাহিদাকে আরো বাড়িযে তুলেছে। এদিকে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসি।

পুঠিয়া রাজবাড়িটি রাজশাহী জেলা শহর থেকে ৩০ কি.মি দুরে। রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই রাজবাড়িটি। পুঠিয়ার জমিদারি মোঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে রাজবাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজবাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থা হওয়া তেমন একটা দর্শনার্থীদের দেখা না গেলোও বর্তমানে নতুনভাবে সংস্কারনের পর পুঠিয়া রাজবাড়িরতে বেড়েছে দর্শনার্থীদের, বেড়েছে সৌন্দর্য।

সবুজে ঘেরা বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে আছে এই রাজবাড়ি। সাদা রং মাখানো রাজবাড়ির দেওয়াল যেন সবার নজর কাড়ে। রাজবাড়ির একপাশে পুকুর অন্য পাশে রয়েছে রাস্তা। পিছন দিকে রয়েছে লাল বর্ণের প্রাচীন কালের পুরনো মন্দির। দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট রাজবাড়িটি সংস্কারণের পর এর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজবাড়িটির গেটে প্রবেশ করে চোখে পরে লম্বা উঁচু পিলার। রাজবাড়িটির নিচ থেকে উপরে যাওয়ার জন্য রয়েছে কাঠ দিয়ে তৈরি লম্বা সিঁড়ি। উপরে উঠে নজর কাড়ে অপরুপ কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা ভবনের দেওয়াল।

একেকটি কক্ষে স্থান পেয়েছে একেক রকম নিদর্শনের। রুমের ভিতরে রাখা হয়েছে পুঠিয়ায় অবস্থিত প্রত্নস্থলসমূহের সুন্দর সুন্দর স্থির ছবি,পুরনো লোহার আলমারি, এছাড়াও বিভিন্ন আকারের মূর্তি কাঁচের ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রুমের সাথে রয়েছে বিশাল আকারের বারান্দা ও লম্বা জানালা জানালায় দাঁড়িয়ে অনূভুব করা যায় খোলা আকাশ থেকে ভেসে আসা প্রকৃতির বাতাস। বারান্দার চারপাশে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের সৌন্দর্য।

এই বারান্দাগুলোতে দাঁড়িয়ে দেখা যায় রাজবাড়ির চারপাশের প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য। ঐতিহাসিক এই স্থাপত্য দেখতে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। বিশেষ করে দুপুর পর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ দর্শনার্থীদের আনাগনা থাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। অন্য দিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশেষ করে বেশি ভিড় জমে এই রাজবাড়িতে। পুঠিয়া রাজবাড়িতে প্রবেশ করতে বিগত সময় টাকা দিয়ে টিকিট কাটার প্রচলন ছিলো না। বর্তমানে টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয় রাজবাড়িতে।

পুঠিয়া রাজবাড়ির জাদুঘরে প্রবেশের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড় করে প্রবেশ মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে জনপ্রতি ১০ টাকা। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য টিকিট মূল্য করা হয়েছে জনপ্রতি ৩০ টাকা। জাদুঘরটি এখন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। জাদুঘরটি নিরাপত্তার রক্ষায় রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরাসহ সর্বক্ষণিক মনিটিরিং ব্যবস্থা।

এদিকে রাজবাড়িতে ঘোরতে আশা কয়কেজন দর্শনার্থী বলেন, বিগত সময়য়ে এই রাজবাড়িতে তেমন একটা দর্শনার্থীদের আনাগনা ছিলোনা। বর্তমানে এই রাজবাড়িটি সংষ্কারের ফলে বেড়েছে যেমন সুন্দর্য, সেই সাথে বেড়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে