পিঠা মেলায় গুনগত মানের খাবার নিয়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে ওয়ান্ডার মার্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর ল্যাবরেটরী ডে সেলিব্রেশন উপলক্ষে গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল মাঠে চারদিন ব্যাপী পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ওল্ড ল্যাবরেটরী সোস্যাইটির (ওরল্যাবস) উদ্যোগে ল্যাবরেটরী ডে সেলিব্রেশন উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের পর বিকেল থেকে চলছে পিঠা মেলা বা পিঠা উৎসব। এবার মেলায় ৭২টি বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে। শুধু পিঠাই নয়, এবার মেলায় বিভিন্ন ধরনের পণ্যের স্টলও দেয়া হয়েছে। মূলত পিঠা মেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের নিজের খাবার বা পণ্য দিয়েই সাজিয়েছেন।

এবার মেলায় স্টল দিয়েছেন উদ্যোক্তা শারমিন চৌধুরি। তার স্টলের নাম ওয়ান্ডার মার্ট। উদ্যোক্তা শারমিন চৌধুরির ওয়ান্ডার মার্ট স্টলে শোভা পাচ্ছে মনকাড়া সব খাবার। মুল পয়েন্টে ওয়ান্ডার মার্ট স্টল হওয়ায় মেলায় আসা দর্শনার্থীদের প্রথমেই চোখে পড়ছে এ স্টলটি। দর্শনার্থীরা একবার হলেও দর্শন করছেন ওয়ান্ডার মার্ট স্টল।

ওয়ান্ডার মার্ট স্টলে রয়েছে বিখ্যাত বগুড়ার দুই, মেইন বাটার, ঘি, নববি সেমাই, বাটার, প্যারা সন্দেস, নারিকেল রোল, গুড়া দুধের সন্দেস, মানসম্মত তেলসহ আরো অনেক লোভনীয় খাবার। প্রতিটি খাবার গুনগত মান ঠিক রেখে মেলায় পদর্শন করেছেন এ তরুণ উদ্যোক্তা শারমিন চৌধুরি।

আজ বুধবার ছিল উদ্বোধনী দিন। বিকেল পড়ার পর থেকে পিঠা মেলায় জমতে থাকে দর্শনার্থীরা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর প্রথম দিনই কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায় মেলা প্রাঙ্গন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর দেখা যায় সামনের স্টলগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। আর ওয়ান্ডার মার্ট স্টলটি ফর্নলাইনে হওয়ার কারণে দর্শনার্থীরা প্রথমে যাচ্ছেন এ স্টলে। দেখছেন ওয়ান্ডার মার্ট স্টলের খাবার ও অন্যান্য পণ্য।

ওয়ান্ডার মার্ট স্টলের স্বত্তাধিকারী শারমিন চৌধুরি বলেন, তিনি ‘আমরা রাজশাহীর উদ্যোক্তা’ গ্রুপের একজন সদস্য। বছর দেড়েক আগে তিনি একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ শুরু করেন। তার ওয়ান্ডার মার্ট মূলত হোমমেট খাবারের জন্য। তিনি নিজে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে সেগুলো হোমমেট দিয়ে থাকেন। উদ্যোক্তা হিসাবে তিনি নতুন হলেও শুরু থেকেই ভাল সাড়া পেয়েছেন।

তিনি বলেন, মেলার উদ্দেশ্য পণ্য বা খাবার বিক্রি নয়, মেলা করা হয় নিজের পণ্যের পরিচিতির জন্য। মেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আসেন। দর্শনার্থীদের দেখানো বা খাবারের গুনগত মানের পরিচয় করে দেয়ার জন্য মূলত স্টল দেয়া। আমি অনলাইনে বেশি পন্য বিক্রি করি। অনলাইনে আমার পেইজের সাড়াও অনেক ভাল। এবার মেলা থেকে ভাল কিছু সাড়া পাবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।