পাহাড়ে বিদ্যালয়গুলোতে বেড়েছে শিক্ষার্থী হার, শিক্ষক সংকট

পাহাড়ে নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিকে বেড়েছ শিক্ষার্থী হার। যা ২০২০-২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। করোনার ভয়কে জয় করে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থী।  আগ্রহ বেড়েছে পড়া-লেখায়ও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী একেবারেই নেই। ভর্তিও হয়েছে শতভাগ। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ বাড়লেও কিছুটা সংকট রয়েছে শিক্ষকের।

রাঙামাটি জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি জেলায় নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৬৫টি। তার মধ্যে ১১টি সরকারি। বাকি ১৫৪টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে এমপিওভুক্ত রয়েছে মাত্র ৭৬টি। বাকি ৮৯টি বিদ্যালয় এখনো করা হয়নি এমপিও ভুক্ত। রাঙামাটিতে ২০২১ সালে শিক্ষার্থীর হার ছিল প্রায় ৪৮ হাজার। আর ২০২২ সালে একই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমানে শিক্ষার্থী হার প্রায় ৫১ হাজার। যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ।

অভিযোগ রয়েছে, রাঙামাটি জেলার ১৫৪টি বে-সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট না থাকলেও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শিক্ষক সংকট। ১১টি সরকারি বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ৫১টি।

রাঙামাটি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ শুরু হলেও এখনো পদশূণ্য সিংহভাগ। রাঙামাটিতে ১১টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টিতে শিক্ষক পদ শূণ্য রয়েছে। রাঙামাটি সদরে ২টি বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষকের পদ শূণ্য। আর কাপ্তাইয়ে ২টি বিদ্যালয়ে ১৪টি, লংগদুতে ৮টি, জুরাছড়িতে ৮ জন করে শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে।

তিনি আর বলেন, করোনার মধ্যেও বিদ্যালয়গুরোতে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষার্থীদের মাঝে টিকা দান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকলে সংকটও কেটে যাবে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন