পাহাড়ে পর্যটকদের উৎসব আমেজ

পাহাড়ে পর্যটকের আমেজ বইছে। প্রতিদিন আসছে দুই থেকে তিন হাজারের অধিক মানুষ। গত ১৯ আগষ্ট পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর পর্যটক আগমনে এক উৎসবের নগরিতে পরিণত হয়েছে পার্বত্যাঞ্চল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো হাজারো মানুষের অরণ্যে পরিণত হয়েছে।

এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বুকিং লেগে আছে শহরের আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসগুলো। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে কোথাও রুম খালি থাকছে না। আছে অগ্রিম বুকিং। ভ্রমণ পিপাসুদের গাড়ির বাহরেও ভিড় বাড়ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল ভরপুর। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে হাজারো পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

কেউ কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে। আবার কেউ প্রকৃতির মাঝে উজাড় করে দিচ্ছে নিজেকে। বিকালের সূর্যের সোনালী রঙ যখন ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তখনই মানুষের ভিড় জমে ঝুলন্ত সেতুতে। শীতের উষ্ণতায় হ্রদ, পাহাড় আর কুয়াশার লুকোচুরি খেলার দেখা মিলে এখানে। তাতেই মুগ্ধ পর্যটকরা।

রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার পর মানুষ পর্যটনমুখি হচ্ছে। দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো স্থবির হয়ে পরে। কিন্তু এখন প্রাণ ফিরেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। তবে আগের তুলনায় দূরের পর্যটক কম। মোটেলে না থাকলেও ঝুলন্ত সেতু ঘুরতে আসছে আশপাশের জেলার পর্যটকরা। একটা সময় এ মৌসূমে পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু এখন একেবারে ভিন্ন চিত্র। যেখানে ৮৫ ভাগ বুকিং থাকতো এখন থাকছে মাত্র ৩৫ ভাগ। গত ৮ দিনে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল ছুটির দিনগুলোতে বেশি। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের ভরপুর উপস্থিতি বাড়বে মোটেলগুলোতে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন