পাবনায় শিশু উদ্ধারে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ২ পুলিশ জখম

পাবনার সুজানগর উপজেলায় সিভিল পোশাকে শিশু উদ্ধার করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) এক কনস্টেবল জখম হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের খয়রান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সুজানগর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মামুন হোসেন। তাদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের আড়িয়া গোহাইলবাড়ী গ্রামের হাসান আলীর চার বছরের মেয়েকে রেখে গত প্রায় ছয় মাস আগে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। এর পর হাসান আলীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ে মার্জিয়াকে তারাবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে যান।

এর পর তারাবাড়িয়া গ্রামের শাহাদত আলীর ভাগ্নি মার্জিয়াকে সুজানগর উপজেলার খয়রান গ্রামে আরশেদ আলী মল্লিকের ছেলে নিঃসন্তান সাইফুল ইসলাম মল্লিকের কাছে দত্তক দেন।

গত দুমাস ধরে সাইফুল ইসলাম মার্জিয়াকে লালন-পালন করছিলেন। এরই মধ্যে নিজের মেয়ে মার্জিয়াকে ফিরে পেতে আদালতের শরণপন্ন হন হাসান আলী।

একপর্যায়ে আদালতের রায়ের পর তিনি সুজানগর থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন।

পুলিশ দত্তক গ্রহণকারী খয়রান গ্রামের সাইফুল মল্লিকের বাড়িতে যায়। এ সময় দত্তকগ্রহণকারী সাইফুল মেয়েটির মামা শাহাদত হোসেনকে খবর দিলে তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সিভিল পোশাকে পুলিশ সদস্যরা বাচ্চা উদ্ধার করতে এলে এ ঘটনা ঘটে।

সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শিশু উদ্ধার করতে থানার চার পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিল এবং সবার শরীরেই পুলিশের পোশাক ছিল।

এ ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিসহ অভিযুক্ত শাহাদত হোসেনকে আটক করে।

আটক শাহাদত পাবনার সদর উপজেলার তারাবাড়িয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সুজানগরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ও মাদক বেচাকেনাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর