১০ দিন ধরেই জেলায় করোনা শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে ২৮ জুন জেলায় শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। ওই দিন ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৫ জনের। শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এরপরের দুই দিন শনাক্তের হার কিছুটা কম থাকলেও বুধবার থেকে আবার তা বাড়তে শুরু করে।
পাবনার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘আশপাশের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণেই পাবনায় সংক্রমণ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণরোধে সারা দেশের মতো পাবনাতেও কঠোর লকডাউন চলছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই শনাক্তের হার কমে আসবে বলে আশা করছি।’
পাবনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ১৬ এপ্রিল। এরপর থেকে ১ লাখ ১২ হাজার ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৪ হাজার ৯৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মোট মারা গেছেন ২৩ জন। এদিকে বর্তমানে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৬০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন রেড জোন ও বাকিরা ইয়েলো জোনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর বাইরে করোনা শনাক্ত হওয়া অন্য রোগীরা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলাব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছেন। দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, সাধারণ মানুষ লকডাউন সঠিকভাবে মেনে চললে শিগগিরই সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে। প্রথম আলো