পাবনায় ইতালি ফেরত ৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

পাবনায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ইতালি ফেরত ৩ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা ৩ জনই পুরুষ এবং মধ্য বয়সী। তাদের মধ্যে ২ জন ঈশ্বরদী এবং ১ জন আটঘরিয়া উপজেলায়।

জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ৩ ব্যক্তি ৩ দিন আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। বিষয়টি জানার পর স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে আলাদা ভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন ও তা নিশ্চিত করেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় ৩ ব্যক্তির শরীরে কোনো আলামত দেখা দিলে সে সব নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, জেলার ৮টি উপজেলা হাসপাতালে ১০টি করে এবং পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাবনা শহরের আরিফপুর আমেনা মনসুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চার তলা ভবনকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে এক সঙ্গে ২০০ মানুষকে পৃথকভাবে রেখে চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

চিকিৎসক ও চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে আলাদা করে ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আলাদা ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী সনাক্ত হয়নি পাবনাতে।

পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ মোহম্মদ আলী জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে পাবনার হাসপাতালগুলোতে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী আসলে তাকে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। তবে সংক্রামক বুঝতে পারলে বা সন্দেহ হলে আগেই হাসপাতালে আসার দরকার নাই। হাসপাতালের হট লাইনে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর বারে বারে হাত ধুলে এই রোগ থেকে সবাই নিরাপদ থাকতে পারবেন বলে জানান তিনি।

মাস্ক এর কৃত্রিম সংকট: করোনা আতঙ্কে জেলায় মাস্কের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানগুলোতে মাস্ক এর দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ৫ টাকার মাস্ক ৩০ টাকা এবং ১০ টাকার একটি মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়। তারপরও প্রয়োজনমত তা পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুদিনে জেলার সর্বত্র স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে মাস্ক পড়ার হিড়িক পড়ে গেছে।