পত্নীতলায় খুলেছে ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অসচেতনতায় বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

আবু সাঈদ, পত্নীতলা:

নওগাঁর পত্নীতলায় যেন স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে জীবণযাত্রা। গত শনিবার থেকেই খুলে গেছে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এদিকে আজ রোববার থেকে খুলেছে ব্যাংকসমুহ।

এদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসমুহ খুলে যাওয়ায় ঘরবদ্ধ মানুষ পুরোদস্তুর বাহিরে বেরিয়ে পড়েছে নিজ নিজ প্রয়োজনে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সেবা প্রতিষ্ঠান সরকার সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার কথা বললেও কার্যত জনগণ বা প্রতিষ্ঠান তা মানছেন না। স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই সকলেই স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। যা এলাকায় করোনা ভাইরাস বিস্তারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সরেজিমনে রোববার বেলা ১১টায় পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর বাসষ্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে মার্কেন্টাইল ও সোনালী ব্যাংকের সামনে সুদীর্ঘ লাইন। নিরাপদ দুরত্বতো দুরের কথা মানুষ একে অন্যের সাথে ঠেলাঠেলি করছে কার আগে কে ব্যাংকে ঢুকবে।

আর বাসষ্ট্যান্ডের সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় মানুষ সাধারণ অবস্থার মতোই কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিল। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার মতো মানুষের মধ্যে কোন ধরণের মানসিকতা পরিলক্ষিত হয়নি। একমাত্র যাত্রিবাহী বাস ছাড়া সকল যানবাহনকে স্বাভাবিক নিয়মে যাত্রি পরিবহণ করতে দেখা গেছে। বাসষ্ট্যান্ডে আগত হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে ৩জন পুলিশ সদস্যকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট জনের সাথে কথা বললে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে সরকার সীমিত পরিসরে ব্যবসা বাণিজ্য ও সেবাখাত চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা অবশ্যই ভালো। কিন্তু আমরা যারা জনগণ আছি তাঁরা সচেতন নয়। মানুষের উচিত হবে স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশিত বিধিমালা মেনে ঘর থেকে বের হওয়া ও নিরাপদে থাকা। এছাড়া এর ভোগান্তি সাধারণ মানুষকেই পোহাতে হবে।

এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, বাজারে মানুষের আধিক্য এলাকায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।

স/অ

আরো পড়ুন …

পত্নীতলায় নানা অযুহাতে সড়কে জনসমাগম, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি