পত্নীতলায় নানা অযুহাতে সড়কে জনসমাগম, বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

আবু সাঈদ, পত্নীতলা:

নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে জনসমাগম দিন দিন বাড়ছে। খুলছে একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চলছে কেনাকাটা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার ঘরে থাকার নির্দেশনা প্রদান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মাইকিং করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রাণঘাতি করোনার মরণ ছোবলকে তোয়াক্কা না করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানা অযুহাতে বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়। যা এলাকায় বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনা ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি।

সরেজমিনে আজ বুধবার সকাল ১০টায় পত্নীতলাউপজেলা সদর নজিপুর বাসষ্ট্যান্ড এলকায় দেখা গেছে, রাস্তায় ছিল মানুষ, ভ্যান, ইজিবাইক আর সিএনজি’র স্বাভাবিক চলাচল। অধিকাংশ দোকানপাটের ঝাঁপ আংশিক খোলা ছিল। অনেক ব্যবসায়ী দোকানের শার্টার বন্ধ রেখে সামনে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলেন। কোন ক্রেতা গেলে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী কৌশলে দোকানের পেছন দিকের গেট খুলে দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। নজিপুর-সাপাহার রোডের ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে চারমাথার গোলচত্বর পর্যন্ত রাস্তায় ছিলো ভ্যান, ইজিবাইক ও মানুষের জটলা। যেন রাস্তা পার হওয়াই দায়। বাসষ্ট্যান্ড গোল চত্বরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে তবে মানুষের জটলা নিবৃত্তি করতে তাদের কোন এ্যাকশন চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে কয়েকজন পথচারির সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, দোকান খোলা আছে তাই জিনিস কিনছি। যদি দোকান না খুলতো তবে আসার প্রয়োজন ছিলো না। সকালে লকডাউন না থাকায় তাঁরা কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য বাজারে আসেন বলেও জানান।

দোকানপাট খোলা রাখার বিষয়ে নজিপুর বণিক কমিটির সভাপতি শহিদুল আলম বেন্টু জানান, আমরা দোকান বন্ধের জন্য নোটিশ জারি করেছি। তারপরও সকালে দোকান খুলছেন অনেকেই। দোকান বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনর্চাজ পরিমর কুমার চক্রবর্তী সঙ্গে কথা বললে তিনি সিল্কুিসিটি নিউজকে জানান, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। যারা লকডাউন উপেক্ষা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য নওগাঁ জেলায় বুধবার পর্যন্ত ১৭জন করোনা রোগী সনাক্ত হলেও পত্নীতলায় এখনও করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি।

স/অ