নিয়োগ চায় ৩০ হাজার বেকার ডিপ্লোমা চিকিৎসক

দীর্ঘ ৮ বছর কোনো নিয়োগ না থাকায় ৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার আছেন। চিকিৎসা সংকট মোকাবেলায় তাদের দ্রুততম সময়ে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবির কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ৩০ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকার।

২০১৪ সালের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আর কোনো নিয়োগ নেই। অথচ চার হাজার উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদশূন্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা যুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে লড়াই করেছে ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা। তাই সংকটের এই মূহুর্তে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের নিয়োগ খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘আজ আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরাই বার বার বিমাতাসূলভ আচরণের শিকার হচ্ছি। আমাদের পেশাগত কর্মক্ষেত্রে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। কোর্স কারিকুলাম ও বোর্ডের বিষয়ে যে হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বুঝে আসে না কেনই বা আমরা বার বার এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়োগের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করছি। আর নিয়োগের বিষয়ে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত না পেলে রাজপথে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে নিয়োগের জন্য চারটি দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে (উভয় অধিদপ্তরে) উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের সব শূণ্য পদে নিয়োগ; দ্রুততম সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ; চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ; কোভিড -১৯ মোকাবেলায় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি করে এ্যাডহক নিয়োগ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আদনান মাহাবুব, দপ্তর সমন্বয়ক হামিদুর রহমান, কেন্দীয় কমিটির সদস্য পুষ্প রাণী, রুবেল হোসাইন, ইউনুস আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ