ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যেই রাশিয়া-বেলারুশ যৌথ মহড়া আজ

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করা আছে। তা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই মিত্র দেশ বেলারুশের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়া ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে।

ন্যাটো জোট বলছে, তাদের যৌথ মহড়া স্নায়ুযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত বেলারুশে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় উপস্থিতিকে চিহ্নিত করে।

ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে এ মহড়াকে বাড়তি পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনার কথা বারবার নাকচ করে দিয়ে আসছে রাশিয়া।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেনে যে কোনো সময় রুশ হামলা হতে পারে। রাশিয়া এ ব্যাপারে ৭০ শতাংশ প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বলেও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর প্রত্যাশা- কূটনৈতিক উপায়ে সঙ্কট সমাধান করা হবে। এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের দক্ষিণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অধিভুক্ত করে নেয় রাশিয়া। তার পর থেকে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। সেখানে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অন্তত ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

জানা গেছে, যৌথ মহড়া উপলক্ষে এক মাস ধরে বেলারুশে সেনা, সামরিক সরঞ্জাম মোতয়েন করেছে মস্কো। তার মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। বেলারুশের সাথে এই মহড়ায় প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অংশ নিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া যৌথ সামরিক মহড়া ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশ ‘অভূতপূর্ব হুমকির সম্মুখীন’ হচ্ছে। সে কারণে যৌথ মহড়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ