নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সিংড়ায় কলেজের ভবন নির্মাণ

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ার চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের চারতলা ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবন নির্মাণ কাজে স্যানিটেরী এবং পানি সরবরাহের কাজে ফিটিংগুলো নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মহিউদ্দিন টিপু।

সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বে-সরকারি কলেজ সমূহ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিংড়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের চারতলা ভবনের ১ম ও ২য় তলার নির্মাণ কাজ করছেন পাবনার আশরাফুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার। যার চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১কোটি ১১লাখ টাকা। কিন্তু সম্প্রতি কলেজের নতুন ভবনের নিচতলায় স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ।

এর পরও সরোজমিনে কলেজে গিয়ে দেখা যায় নিচতলায় স্যানিটেরী ও পানির কাজে নিম্ন মানের পাইপ ও ফিটিং ব্যবহার করা হচ্ছে। এসময় সেখানে সাংবাদিকদের দেখে কর্মরত শ্রমিকরা তড়িঘড়ি করে পাইপ ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ রয়েছে, এবিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর কর্মকর্তাদের অবগত করা হলে তারা সরেজমিনে এসে কাজ পরিদর্শন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিম্নমানের মালামাল ফেরত নিতে বলেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেদিকে কর্ণপাত না করে ইচ্ছে মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহল মনে করেন, এভাবে স্কুল ও কলেজের ভবন নির্মাণ করা হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আরও অভিযোগ রয়েছে, ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশলীর কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে ভবন নির্মাণের বেশির ভাগ বিল উত্তোলন করা হয়েছে।
ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্যানিটেরী বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না বলে জানান।
চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মহিউদ্দিন টিপু বলেন, স্যানিটেরী বিষয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার দেখে তিনি ভবনের কাজ তদারককারী সদস্যদের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি এখন কমিটির লোকজন ভালো বলতে পারবে।
নাটোরের শিক্ষা প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান বলেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে হাতে নাতে তা ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক।
আর কোথাও দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘নাগরিকের সচেতন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। উপজেলার যেকোন প্রান্তে দেশরতœ শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোন ধরণের অনিয়ম লক্ষ্য করলে অবহেলা না করে প্রতিবাদ করুন।’ পরে অনেকেই প্রতিমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

 

স/আ