সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট এসেছে বুধবারই। দেখা যাচ্ছে নোটবাতিলের পরে ৯৯ শতাংশ ১০০০ টাকার বাতিল নোটই ফিরে এসেছে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে। ২০১৬-১৭ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৬ হাজার ৫০ কোটির মধ্যে মাত্র ১৫.৪৪ লাখ কোটি টাকার বাতিল নোট ফিরে আসেনি ব্যাঙ্কে।
এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুলেছেন নোট বাতিলের ব্যর্থতা নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘‘নোটবাতিল নিয়ে আরবিআই-এর প্রকাশিত তথ্য বড় দুর্নীতির দিকেই ইশারা করছে না কি?’’
মমতার অভিযোগ নোটবাতিল আসলে কালো টাকা সাদা করার একটি প্রকল্প ছিল। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘‘এই প্রক্রিয়াটি কী ভারত সরকার পরিকল্পিতভাবে কালো টাকার দালালদের লাখ লাখ কোটি টাকা সাদা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল? এর পিছনে কি কোনও লুকানো অ্যাজেন্ডা ছিল?’’
নোটবাতিলের ফলে দেশের মোট উৎপাদনের তিন লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে একটি ত্রৈমাসিকে। নোটবাতিল নাকি বহু লাখ কোটি টাকার কালো টাকা উদ্ধার করার জন্য হয়েছিল। কিন্তু ‘‘আমরা একটা ‘বড় শূন্য’ পেয়েছি,’’ বলে মন্তব্য করেছেন মমতা।
এটিকে পুরো ‘ফ্লপ শো’ বলে চিহ্নিত করেছেন মমতা। তাঁর দাবি, ‘‘ভারতের জনগণ এর উত্তর এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছে।’’
যেহেতু নোটবাতিলের ইস্যুটি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন। তাই আদালতের কাছেই মমতা আবেদন করেছেন এর বিচার করার জন্য।
তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলী নোটবাতিলের সমর্থনে যুক্তি খাড়া করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘নোটবাতিলের ফলে যে টাকা ব্যাঙ্কে এসেছে তা পুরোটাই সাদা হয়ে গেছে ভাবলে ভুল হবে। যাঁরা টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের আয়ের সঙ্গে জমা টাকার পরিমাণ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। না মিললে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠাচ্ছে।’’
এছাড়াও নোটবাতিলের ফলে দেশে ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দীর্ঘমেয়াদে তা কালো টাকার বিরুদ্ধে কাজ করবে বলেও মনে করেন জেটলী।