নওগাঁয় চলছে ১০টাকা কেজি ওএমএসের চাল বিক্রয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করার কথা থাকলেও সোমবার থেকে চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সাথে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

সূত্রে জানা, এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন ৫ কেজি চাল ও ৩ কেজি করে আটা কিনতে পারবেন। প্রতিজন ডিলার ১ মেট্রিকটন চাল ও ১ মেট্রিকটন আটা বিক্রি করতে পারবেন। শুক্রবার ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহের যে কোন ৩দিন এই কর্মসূচীর মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয় করা হবে। ডিলারের দোকানগুলোতে চাল-আটা কিনতে উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এর সাথে জেলার ১১টি উপজেলায় ২০৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ জনের মাঝে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই চাল বিক্রয় কেন্দ্রে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম ১-২টাকা করে কমেতে শুরু করেছে। প্রতিজন ক্রেতা ৫ কেজি করে ১০ টাকা দরে চাল কিনতে পারবেন। দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে ওএমএসের চাল বিক্রি বন্ধ থাকায় দফায় দফায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে সাধারনদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠে। চালের দাম কমতে থাকায় নিন্ম আয়ের মানুষরা স্বস্তি পেতে শুরু করেছে। তবে দাম আরো কমলে সুবিধা হবে বলে জানা গেছে।

চাল নিতে আসা অতিদরিদ্র নাজমা বেগম, কলিম উদ্দিনসহ আরও অনেকেই বলেন, এই ভাবে বছরের অর্ধেক সময় যদি সরকার কম দামে চাল বিক্রয়ের কার্যক্রম হাতে নিতো তাহলে খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের জন্য খুবই ভালো হতো। আমরা দিনে যা আয় করি বর্তমান সময়ে বাজার থেকে চাল কিনতেই তার সবকিছু ফুরিয়ে যায়। বাকি বাজারগুলো কিনতে হিমশিম খেতে হয়। তাই এই ১০টাকা কেজি চাল সরকার আমাদের দিয়ে খুব উপকার করেছেন।

রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের ডিলার বাচ্চু হোসেন, মন্টু সেপাইসহ আরও অনেকেই বলেন, আমরা নিয়ম অনুসারে সুশৃঙ্খলভাবে শান্তি পূর্ন পরিবেশে অতিদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরন করছি। এই কর্মসূচির সময় ও বরাদ্দ আরও বাড়ালে অত্র এলাকার খেটে-খাওয়া গরীব অসহায় মানুষরা আরও উপকৃত হতো।

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো: আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ডিলারের মাধ্যমে সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এই চাল বিক্রয় করার কারণে চালের বাজার কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হলে আগামীতে আরো কমার সম্ভবনা রয়েছে। এই কর্মসূচিটি প্রধান দুই ধানের মৌসুম শুরুর দিকে চালু করা হয়।
স/শ