নওগাঁর আত্রাইয়ে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা আম

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে, আম কুড়াতে সুখ, পাঁকা জামের শাখায় উঠি রঙ্গিন করি মুখ।’ পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার সঠিক সময় এখন। বৈশাখ মাসের প্রথম সময় পার করছি আমরা। এখন গাছে গাছে ঝুলছে ছোট ছোট কাঁচা আম। আর কাঁচা আম মানেই রসনা প্রিয় বাঙ্গালির জিভে জল। দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই আম কমবেশি জন্মে। তবে ব্যতিক্রম নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা। এ উপজেলাতে এবার আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার প্রতিটি আম গাছের সবুজ পাতার আঁড়ালে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা আম। মধুমাস জৈষ্ঠের এই সময়টিতে আবহাওয়া এখনো পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। ফলে আমের গুণগত মান ভালো থাকবে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় আমের ফলনও এ পর্যন্ত ভালো আছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর ও আমচাষীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হতে পারে আত্রাইয়ের উৎপাদিত আম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকার বিস্তীর্ন মাঠের বাগান গুলোতে শোভা পাচ্ছে নানান জাতের আম। দেশের সবচেয়ে সেরা আম উৎপাদন করতে চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই আমচাষীদের। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় অনাবৃষ্টির কারণে অনেকটাই বিপাকে পড়েছিলেন আমচাষীরা। তবে সম্প্রতি সময়ে কয়েক দফায় বৃষ্টি হবার ফলে অনেকটা স্বস্তিতে বাগান মালিকরা। সবচেয়ে ভালো মানের আম উৎপাদন করার লক্ষ্যে শেষ সময়েও তারা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

উপজেলার বাগানগুলোতে সম্প্রতিকালে আমের গুণগত মান ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দিলে চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলন হবে। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন আমচাষীরা।

এ বিষয়ে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাগান মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে আমার বাগানে প্রায় দ্বিগুন পরিমাণে গাছে আম ধরেছে। আশা করছি এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। দামও বেশি পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে.এম কাউছার হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার বাগানগুলোতে গুটি আম, গোপালভোগ, রানী পছন্দ, খিরসাপাতি, হিমসাগর, নাগ ফজলী, ল্যাংড়া, ফজলী, আম্রপালী, আশ্বিনা, বারী-৪ এবং ঝিনুক জাতের আম চাষ করছেন চাষীরা। এ বছর বড় আকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এজন্য ধার্যকৃত লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জি/আর