ধামইরহাটে সরকারি গুদামে আমন ধান দিতে কৃষকদের অনিহা


ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি খাদ্য গুদামে চলতি আমন মওসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর ১০ দিনেও কোন সংগ্রহ হয়নি। সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে ধান-চালের মূূল্য বেশি থাকায় খাদ্য গুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ মওসুমে এ উপজেলায় আগে আসলে আগে দিতে পারবেন এ পদ্ধতিতে কৃষক নির্বাচন করার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষকদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১শত ৯৪ মে.টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চলতি মাসের ১৭ নভেম্বর থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলভে। কৃষকের কাছ থেকে প্রকারভেদে ১ থেকে ৩ টন পর্যন্ত ধান ক্রয় করা হবে।

অপরদিকে উপজেলার ২৫ জন মিল মালিকদের কাছ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে ২শত ৪৪ মে.টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ রয়েছে। উপজেলার মইশড় গ্রামের কৃষক ফারুক আজিজ কামাল বলেন,সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা কোন ঝামেলা ছাড়া বিক্রি করছে। তাছাড়া খাদ্যগুদামে ধান দিতে চাইলে লেবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার শিকার হতে হয়। খোলাবাজারে সহজে ধান বিক্রি করা যায়। বর্তমানে বাজারে স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১ হাজার ২শত ২০ এবং বিনা-১৭ ধান ১ হাজার ৩শত টাকা মণ দরে কেনাবেচা চলছে।

ধামইরহাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.আতাউর রহমান বলেন,চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান এ উপজেলায় গত নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। খোলাবাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ার কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। উল্লেখ্য এবার ধামইরহাট উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ৪শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এবার ধানের পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। ফলনও ভালো হয়েছে।

এস/আই