ধামইরহাটে ভূমিহীনদের বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য মারপিট ও হুমকি প্রদান


ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটে ভূমিহীন তিন পরিবারকে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদের হুমকি প্রদান,মারপিট এবং খড়ের পালাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভেড়ম গ্রামে। ওই অসহায় পরিবারগুলো বিষয়টি সুষ্ঠু  বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

ধামইরহাট থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,ভেড়ম গ্রামের অসহায় দিনমজুর ভূমিহীন মৃত তছির উদ্দিনের তিন ছেলে আজিজুল ইসলাম,জিল্লুর রহমান ও ইব্রাহিম হোসেন ভেড়ম মৌজার আরএস খতিয়ান ৫৯ এর ১৬৬ দাগে ৩২ শতাংশ জমিতে বসবাস করছে। ওই ৩২ শতাংশ জমির মালিক একই গ্রামের নাজমুল হক সরকার। ভূমিহীন হওয়ায় তাদের ওই জমি বসবাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। তারা বাড়ীঘর তৈরি করে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে। হটাৎ করে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী এবং ১৪ জুন সর্বশেষ ২৮ জুন তিন দফা ওই জায়গা নিজের দাবী করেন একই গ্রামের মৃত আইজান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান। ভূমিহীন আজিজুল ইসলাম বলেন,২৮ জুন তারিখ সকাল সাড়ে ১০টায় আব্দুল মান্নানের নেতৃত্ব ১৮-২০ জন লোক এসে আমাদের বাড়ীঘরে টিন,২৫ বিঘা জমির খড় তছনছ এবং প্রায় ১৫ মণ আম লুটপাট করে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বাড়ী থেকে উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করে। বিষয়টির সুষ্ঠু  বিচারের জন্য গত ৭ জুলাই বুধবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

আরএস রেকর্ডমূলে ওই জমির মালিক হিসেবে দাবীদার নাজমুল হক সরকার বলেন,পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ওই জমিতে প্রায় ৩০ বছর আগে ভূমিহীন তিন পরিবারকে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে হটাৎ করে আব্দুল মান্নান ওই জমি কবলা সূত্রে নিজের বলে দাবী করেন। বিষয়টি নিয়ে ধামইরহাট সহকারি জজ আদালত নওগাঁয় ১৫/২০১৭ নং নামে একটি মামলা চলমান রয়েছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত মো.আব্দুল মান্নান লুটপাট,মারপিট ও হুমকি প্রদানে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি ওই জমি ১৯৮৭ সালে ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছে। যার দলিল নং ১০২৪ এবং ধামইরহাট দলিল নিবন্ধন অফিসে দলিল সম্পাদিত হয়েছে। এ জমি নিয়ে তিনটি মামলা আদালয়ে হয়েছিল সবকটিতে আমি ডিক্রি পেয়েছি। এখন যে মামলার কথা বলা হয়েছে সেটি মামলার রায়ের ২০ বছর পর ছানি মামলা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল মমিন বলেন,একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। তারপরও একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন। তাছাড়া অভিযোগকারীদের সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট একটি আবেদন করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবেদন করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশ অফিসার উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করতে পারেন।

স/জে