ধামইরহাটে পুনরায় খাল খননে উপকৃত কৃষকেরা


ধামইরহাট প্রতিনিধি: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ‘টুটিকাটা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিডেট’ এর আওতায় টেকসই প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি মাধ্যমে খাল পুন:খনন করা হয়েছে।

খাল খনন হওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন এলাকার কৃষক ও সমিতির সদস্যরা।

সাড়ে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ৩হাজার ১শত মিটার খালটি খনন করা হলেও বাকী খালও খনন করার দাবী জানিয়েছেন সদস্যরা। তবে খালের যে অংশটুকুট পুনঃখনন করা হয়েছে তার দু’পাড়ের কৃষক সুফল পেতে শুরু করেছে।

জানা গেছে,উপজেলার আলমপুর ও উমার ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত খালটি প্রায় ১২ বছর পূর্বে খনন করা হয়। এরপর দীর্ঘ দিন খালটি খনন না করায় পলিজমে ভরাট হয়ে যায়। এতে করে সামান্য পানিতেই খাল উপচে ফসলি জমি ও বাড়িঘর তলিয়ে যেতো। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ‘টেকসই ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজটি করে ‘টুটিকাটা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড। খালটি পুনঃখনন করতে ব্যয় হয়েছে ভ্যাটসহ প্রায় ৩৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭শত ৫৮ টাকা। খাল খনন করায় গাংরা,পূর্ব শালুককুড়ি,বীরগ্রাম মোল্লাপাড়া,কাটনা,বানিয়াপাড়া এবং টুটিকাটাইসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত শত কৃষক সুবিধা ভোগ করছে। খালের পশ্চিম পাড়ের পূর্ব শালুককুড়ি গ্রামের গৃহবধু মর্জিনা খাতুন বলেন,খাল খনন করায় বর্তমানে পর্যাপ্ত পানি জমেছে। সেই পানিতে তার ৩০টি পাতি ও রাজহাঁস পালন করছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। খালের পূর্ব পাড়ের গাংরা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, খালের পানি ব্যবহার করে আমরা আলু,সরিষা,গমসহ বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি চাষ করছি। তাছাড়া শুস্ক মওসুমে ইরি বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। টুটিকাটা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষক আজিজার রহমান বলেন, খালের পানি ব্যবহার করে কৃষক ও মৎস্য চাষীরা লাভবান হচ্ছে। খালের বাকী অংশ খননের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান। ওই সমিতির সভাপতি মোতারফ হোসেন মাস্টার বলেন,সমিতির ৪৭১ জন সদস্যসহ খালের দুই পাড়ের কৃষকরা খালের পানি ব্যবহার করে নিজেরা উপকৃত হচ্ছেন। এছাড়া কৃষকরা সমবায় ভিত্তিক চাষবাদ শুরু করেছে।

এব্যাপারে এলজিইডি ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, টুটিকাটা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ৪৭১ জন সদস্য রয়েছে। খাল খননের ফলে ওই এলাকার কৃষির প্রসার ঘটিয়ে, মৎস্যচাষ ও হাঁস পালনসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সমিতির সদস্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। এছাড়া খালের বাকী অংশ পূণঃখননের জন্য নতুন করে বরাদ্দ আসলে সে অংশও খনন করা হবে।

স/জে