ধামইরহাটের কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন


ধামইরহাট  প্রতিনিধি :
নওগাঁর ধামইরহাটের কৃষকরা আগামীর সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষে ঝুঁকে পড়েছেন । ইরি বোরো মওসুমে ধানের ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে বেশ উপকৃত হয়েছে।

দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এবার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক তোড়জোড়ের কারণে এবার এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭ শত ৯০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে,এবার ধামইরহাট উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শত ৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলা থেকে ধানের চারা উত্তোলন করে বর্তমানে মাঠে মাঠে ধান রোপন কর্মসূচী পুরোদমে চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক জমিতে ধান রোপন হয়ে গেছে। ঈদের আগে প্রায় ৭০-৮০ ভাগ জমির ধান রোপন শেষ হবে।

এবার কৃষকগণ ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে  উচ্চ ফলনশীল (উফশী) এবং ৭শত ৯০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান রোপন করছেন। কৃষকগণ ব্রিধান-৩৪,৪৯,৭৫,৮৭,বিনা-১৭,স্বর্ণা-৫,ত্বরা স্বর্ণা,চিনি আতব,জিরাশাইল ও কাটারীভোগ জাতের ধান চাষ করছেন।

গছি পদ্ধতিতে এসব জমিতে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। গত ইরি বোরো মওসুমে কৃষকগণ ধানের ফলন সন্তোষজনক ফলন ও দাম পেয়ে নতুন উদ্যোমে আমন ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছে। করোনা মহামারী ও বন্যা পরবর্তীতে খাদ্যে যাতে কোন সংকট সৃষ্টি না হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন ইঞ্চি জায়গায় যাতে পড়ে না থাকে।

এই আহবানে সাড়া দিয়ে কৃষকদের অধিক জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিরলস পরিশ্রম করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে ওঠোন বৈঠক,মাঠ দিসব,মাইকিং,লিফলেট বিতরণ,কৃষক বন্ধু সভা,কৃষক নোটিশ বোর্ড,কৃষক প্রশিক্ষণ স্কুল,কৃষক মোবাইল সেবাসহ বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ প্রদান করছেন।

উপজেলার চৌঘাট গ্রামের কৃষাণী বেগম সেলিনা খাতুন বলেন,গত ইরি বোরো মওসুমে ধানের দাম ভালো পেয়েছি। এবার আমন ধান বেশি জমিতে রোপন করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন,বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিলেও এ উপজেলায় বন্যা নেই বললেই চলে। সামান্য কিছু জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ জমিতে কৃষকগণ কোন রকম সমস্যা ছাড়াই আমন ধান রোপন করছেন।

ইরি বোরো মওসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকগণ আর্থিকভাবে বেশ উপকৃত হয়েছেন। আগামীতে আমন ধানের ভালো ফলন ও ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় আশায় অধিক জমিতে ধান চাষ করছেন।

স/আ.মি