তৃণমূলের তিন ‘প্রভাবশালী’ নেতাকে সাসপেন্ড করলেন মমতা

আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল। খোদ তৃণমূল নেত্রীর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে রেয়াত না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর এরপরেই কড়া হয়েছে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলায় কড়া হাতে দুর্নীতি দমনে নেমেছে শাসকদল তৃণমূল। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ আসলেই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস না, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এই বার্তা দিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।

এবার হাওড়ায় দল থেকে সাসপেন্ড করা হল ৩ জনকে। শোকজ করা হল আরও দুই তৃণমূল নেতাকে। এমনটাই জানালেন মন্ত্রী অরূপ রায়। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ভুয়ো নাম নিয়ে কিছুদিন আগেই সরগরম ছিল বাংলার রাজনীতি। অনেক ক্ষেত্রেই আমফানের ক্ষতিপূরণ তালিকায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণেরও অভিযোগ উঠেছিল। তালিকায় এমন অনেকেরই নাম ছিল যারা বিত্তশালী, এমনকি কোনওভাবেই তাঁরা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। হাওড়া জেলাতেও এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।

এরপরই সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মাকড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উত্তর ঝাঁপড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে এবার দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। শুক্রবার সকালে হাওড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায় একথা জানান।

তিনি বলেন, এছাড়াও পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু ও উত্তর ঝাঁপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন এরা সাসপেন্ড থাকবেন। এরা যদি অবিলম্বে পদত্যাগ না করেন তাহলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।

এছাড়াও বড়গাছিয়া ২ নং অঞ্চল প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর ১ নং অঞ্চলের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে বলেও অরূপ রায় সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বা মা মাটি মানুষের সরকার কোনওভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়না। প্রশ্র‍য় দেবেনা। সূত্র: কলকাতা 24