তানোরে কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে বালাইনাশক দোকানে নামানো হল ৪৮০বস্তা পটাশ

তানোর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর তানোরে সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে চোরাপথে (এমওপি)পটাশ সার এনে আলুর জন্য এখন থেকে গোডাউনে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, তানোর পৌর এলাকার ধানতৈর মোড়ে। এতে করে উপজেলার বিসিআইসি অনুমোদিত বৈধ সার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীগণ চরম বিপাকে পড়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এসব সার আসল-নকল না ভেজাল সেটা বোঝার ক্ষমতা নাই অধিকাংশ কৃষকের। আর কৃষকের এই সরলতার সুযোগ ব্যবহার করে এরা ভেজাল ও নিম্নমাণের সারে এলাকা সয়লাব করে দিচ্ছেন বলেও অনেক সচেতন কৃষক মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির বিসিআইসির ডিলার প্রণব কুমার সাহা সার বিপণন নীতিমালা লঙ্ঘন করে ট্রাক যোগে বিভিন্ন রকমের বিপুল পরিমাণ সার তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে যাচ্ছেন। অথচ সার বিপণন নীতিমালায় বলা আছে সারের সংকট দেখা না দিলে এক উপজেলার সার অন্য উপজেলায় বিক্রি করা যাবে না।

এদিকে  বাইরের এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন এভাবে সার আশায় তানোর উপজেলার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছে, তাদের সার তেমন বিক্রি হচ্ছে না। উপজেলার ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বাইরের এলাকা থেকে এভাবে চোরাপথে সার আসলে তাদের সার তারা কার কাছে বিক্রি করবেন, আবার সার বিক্রি করতে না পারলে  তারা নিয়মিত সার উত্তোলন কিভাবে করবেন। তারা বাইরের উপজেলা থেকে সার আশা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে বিসিআইসির সার ডিলার প্রণব কুমার সাহা বলেন,তানোরের সার ডিলাররা ঠিকমতো সার আমদানি করতে পারে না, সেই জন্য তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুরোধে আমি নোয়াপাড়া থেকে সার পটাশ এনে কৃষকের সংকট দুর করার চেষ্টা করি।

আমি কৃষকের মাঝে সার না দিলে কৃষি কর্মকর্তার চাকরি থাকবেনা বলে তিনি জানান। তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ ডিলার প্রণব কুমার সাহার বক্তব্য অস্বীকার করে জানান,তাকে তার নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া অন্য এলাকায় সার দিতে অনেকবার নিষেধ করেছি, তার পরেও তিনি অলৌকিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চোরাপথে বিভিন্ন এলাকায় সার দিয়ে চলেছেন। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।