ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল লঞ্চ ভাড়ার চেয়ে কলকাতার খরচ কম!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে দক্ষিণাচলের সব রুটের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও পায়রাবন্দর যেতে প্রথম শ্রেণির একজন যাত্রীর যে খরচ হয় তার চেয়ে অর্ধেক খরচে এসব এলাকা থেকে ভারতের কলকাতা যাওয়া যায়।

এই রুটে অতিরিক্ত ভাড়ার নৈরাজ্যে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।  সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় চরম দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। আছে সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন। বেড়েছে দালালের দৌরাত্ম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-দশমিনা-রাঙ্গাবালী-পায়রাবন্দর নৌ-রুটে প্রতিদিন দুটি করে মোট ৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চগুলো হলো- জাহিদ, মেলকার, ওহাব শিপিং কোম্পানির জাহিদ-৮, চাঁদনী-১, জামাল-৮, জাহিদ-৩ এবং অন্য কোম্পানির পূবালী-৬ ও ইয়াদ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ সংশ্লিষ্ট একজন জানান, এ রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো ১ হাজার ৩শ টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার ও ২ হাজার ২শ টাকার ডাবল কেবিন ৩ হাজার ৬শ বা তার বেশি টাকায় ভাড়া দিচ্ছেন।

তবে দালালের মাধ্যমে কেবিন অগ্রিম বুকিং দিতে হলে গুনতে হয় আরও বাড়তি টাকা। ন্যায্য মূল্যে কেউ কেবিন পান না। কেবল অতিরিক্ত টাকা দিলেই মেলে কেবিন। প্রথম শ্রেণির কেবিন এখন সোনার হরিণ।

অথচ, ঈদ উপলক্ষে প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের থেকে সিঙ্গেল কেবিনের জন্য যে ভাড়া নেওয়া হয় তার অর্ধেক টাকা বা তার একটু বেশি খরচ করে দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া থেকে পাঁচ ধাপে ভ্রমণ ফি বাদে ভারতের কলকাতা পর্যন্ত যাওয়া যায়।

আরিফুর রহমান নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, এই রুটের লঞ্চগুলো দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের হয়রানি করে আসছে। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। বহন করা হয় অতিরিক্ত যাত্রী।

রবিন নামে একজন জানান, জাহিদ ও মেলকার শিপিং কোম্পানি এই রুটের যাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রেখেছেন। তাদের কারণে নতুন কোনো লঞ্চ এই রুটে আসতে পারে না। তারা নিজেদের ইচ্ছা মতো এক এক সময় এক একটা লঞ্চ চালায় এই রুটে। ভাড়া নেন অতিরিক্ত। টাকা কম দিলে ছাত্রীদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয় অভিযোগের জাহিদ ও মেলকার কোম্পানির মালিকের ভাই এবং ওহাব শিপিং কোম্পানির মালিক মো. জামাল বলেন, সরকারি ভাড়ার চেয়ে কেবিনে কম নেয়া হয়। আর যাত্রীদের কোনো হয়রানি করা হয় না বলে তিনি জানান।

পটুয়াখালী বিআইডাব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, ডেকের ভাড়ার চেয়ে কেবিনের ভাড়া হবে চারগুণ। সে হিসেবে কেবিনের ভাড়া কম নেয়া হচ্ছে। আগে ভাড়া কম নেয়া হতো। ঈদের সময় তাই একটু বেশি নেয়া হচ্ছে। তারপরও তারা নিয়ম মেনে ভাড়া নিচ্ছেন। আর এ রুটে প্রতিদিন দুটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। সূত্র: যুগান্তর