ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক

খালাস পাবেন, নাকি সাজা হবে- কি আছে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাগ্যে জানা যাবে আজ (১ জানুয়ারি)। বছরের প্রথম দিনেই শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায় ঘোষণা করবেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

বছরজুড়েই শ্রম আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে তাকে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার কারণে বিদেশের সভা-সেমিনারেও যেতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর শ্রম আদালতে নজিরবিহীন ১৩ দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য নতুন বছরের প্রথম দিন তথা সোমবার ধার্য করেন আদালত।

তবে এ রায় ঘিরে দুই পক্ষের প্রত্যাশাই একইরকম, জিতবেন তারা। দুই পক্ষেরই দাবি- মামলা প্রমাণ করতে পারেনি অপরপক্ষ। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনোকিছুই প্রমাণ করতে পারেনি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। কাজেই সসম্মানে খালাস পাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

যদিও কলকারখানা প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের দাবি, ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত। তারা সর্বোচ্চ সাজা চান।

আইনে সর্বোচ্চ সাজা কি আছে- এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ৩০৩ (ঙ) ধারায় ৬ মাসের জেল ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। একই সঙ্গে ৩০৭ ধারা প্রমাণিত হলে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানায় দণ্ডিত হবেন তিনি।

শুনানি ঘিরে প্রশ্ন এসেছে এখানে বিচার কি নোবেলজয়ীর হচ্ছে, নাকি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় মালিকের হচ্ছে। সে জবাবও দুপক্ষ দিয়েছে নিজেদের মতো করেই। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোম্পানির অপরাধে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হবে, তারপরে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আসবে। এখানে ড. ইউনূসের মতো ব্যক্তিকে কীভাবে জড়ানো যায়, ফাঁসানো যায়- সেটিই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

তবে খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের দরখাস্তগুলোতে আমরা কখনই নোবেলজয়ী শব্দটা উচ্চারণই করিনি, কেননা আমাদের মামলায় কোনো নোবেলজয়ীর বিচার হচ্ছে না। এখানে বিচার হচ্ছে কলকারখানা মামলায় শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের।

জিত কিংবা হার, ড. ইউনূস ও প্রসিকিউশন দুপক্ষই তাদের পরবর্তী আইনি লড়াইও ঠিক করে রেখেছেন। খুরশীদ আলম খান বলেন, তারা যদি এই রায়ে সন্তুষ্ট না হয়, উচ্চতর আদালতে যেতে পারবেন। আর ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ষড়যন্ত্র হলে আমাদের পরবর্তী আপিল প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।