ডায়েট যখন বিপজ্জনক!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাড়তি ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ সব সময়ই বেশ চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কী না খেলে ওজন কমবে, কোন খাবার ওজন কমায়, ডায়েট করতে চাইলে কীভাবে করতে হবে এসব ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায়।

শরীরের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে তা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই অস্বস্তিকর।ওজন বাড়লে আপনার দৈহিক সৌন্দর্য কমে।ডাক্তাররা প্রায়ই সতর্ক করে দেন যে অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকী ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

আপনি শুনে অবাক হবেন সারা দিনে কেউ কেউ এক কাপ মুরগির স্যুপ খেয়ে থাকেন যেখানে থাকে মাত্র ৩০০ কিলোক্যালরি, কেউ কেউ ফ্যাশনেবল ডায়েট করেন শুধু মাছ, ডিম বা অল্প মাংস খেয়ে, কেউ কেউ রাত দিন শুধু ফলে নির্ভরশীল থাকেন। এমনকি অনেকে খাবারে একেবারেই তেল ব্যবহার করেন না। এর একটিও বিজ্ঞানসম্মত নয় আর কোনো পুষ্টিবিদ দ্বারাও পরীক্ষিত নয়।

ক্রাশ ডায়েট শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ। আসুন জেনে নেই ডায়েট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

বাহ্যিক সমস্যা

মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়াসহ নানা ধরনের বাহ্যিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পুষ্টির অভাব

শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে হাড় থেকে মিনারেল বের হয়ে যায় ফলে হাড় ক্ষয় দেখা যায়, রক্তে আয়রন ও ভিটামিন বি-৬ এর অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হয়।

ক্রাশ ডায়েট

ক্রাশ ডায়েট করলে কিডনি, যকৃত, হার্ট ও মস্তিষ্কের নানবিধ জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আমাদের সবার প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য হলো সুস্থ থাকা। ওজন দ্রুত কমানোর জন্য ক্রাশ ডায়েট করা হলে কিছুদিন পর ডায়েট করা ছেড়ে দিলে ওজন আগের চেয়ে বেড়ে যায়।

তাই ক্ষতিকর কোনো কিছুতে অভ্যস্ত না হয়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ডায়েট চার্টের জন্য একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।