টাকা শূণ্য ব্যাংকের বুথ: নাটোরে চরম হয়রানীর শিকার গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকা সত্বেও নাটোরের বেশির ভাগ ব্যাংকের বুথে টাকা শূণ্য হয়ে পড়েছে। এতে ঈদের আগে টাকা না পেয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশির ভাগ ব্যাংকের গ্রাহকরা। তবে সবচেয়ে বেশি অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ব্র্যাক এবং যমুনা ব্যাংকে। টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা। ফলে ঈদের কেনাকাটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই।

 

সূত্র জানায়, সুষ্ঠ ভাবে ঈদ উদযাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারী সকল ব্যাংকের বুথে পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা জমা রাখার নির্দেশনা জারি করেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সে নির্দেশনা বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়েছে ব্র্যাংক এবং যমুনা ব্যাংক সহ নাটোরের বেশির ভাগ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গত দুই দিন ধরে ্ওই দুটি ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেনা গ্রাহকরা। এছাড়া ফাস্ট সিকিউরিটিস ব্যাংক, রাষ্ট্রয়াত্ব সোনালী ব্যাংক সহ অন্যান্যে ব্যাংকের একই অবস্থা।

 

ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটির কারনে তড়িঘড়ি করে ব্যাংক বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজাররা। যার কারনে বেশির ভাগ বুথে টাকা জমা করতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া কিছু কিছু ব্যাংক টাকা জমা রাখলেও মুহুর্তের মধ্যে তা শেষ হয়ে যায়। ফলে টাকা তুলতে না পেরে অনেকই বলছে ঈদের কেনাকাটা হবে না।

 

বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর এলাকার আতিকুল ইসলাম। ঢাকায় প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি করেন তিনি। নিজের নিরাপত্তার জন্য বেতন বোনাস সঙ্গে নিয়ে আসেননি। পরিবার-পরিজনকে ঈদের নতুন পোশাক কিনে দেয়ার জন্য শহরের কানাইখালি এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের বুথে টাকা তুলতে আসেন। কিন্তু এসেই বুথের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে শুনেন বুথে কোন টাকা নেই। ফলে মাথায় বাজ করার মতো অবস্থা তার।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বুথে টাকা না পাওয়ার কারনে এবার তার পরিবার-পরিজনকে নতুন পোশাক কিনে দেয়া সম্ভব হবে না।

 

প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরি করেন সিংড়ার হাতিয়ানন্দাহ এলাকার মোরশেদ হোসেন। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের বুথে টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।

 

সংবাদ কর্মী নাজমুল হাসান বলেন, তার অফিসের বেতন বোনাস ব্র্যাক ব্যাংকে আসে। প্রতি ঈদের ব্যাংকগুলো বুথে টাকা না রেখে বন্ধ করে দেয়। যার কারনে হঠাৎ করেই গ্রাহকদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়।

 

তিনি আরো বলেন, ব্যাংকগুলো ঠিকিই চার্জ কাটে। কিন্তু সেবার বেলায় ঠনঠনাঠন।
ব্যাংকের বুথগুলোতে টাকা তুলতে আসা বেশির ভাগ গ্রাহকই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই মানতে হবে। অথচ কোন ক্ষমতা বলে এসব ব্যাংক কাজ করছে তা তাদের বোধগম্য নয়।

 

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার তাপস কুমার সাহা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা থাকলেও শুক্রবার থেকে বুথ খোলা থাকলেও টাকা শেষ হয়েছে। তবে হেড অফিসের জটিল প্রক্রিয়ার কারনে বুথে পুনরায় টাকা জমা করা সম্ভব হচ্ছে না।
স/শ