মঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জেলে গিয়ে কী করছেন ধর্ষক বাবা, আরও কেচ্ছা ফাঁস করলেন রাম রহিমের দেহরক্ষী

Paris
আগস্ট ২৯, ২০১৭ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিবিআই-এর বিশেষ আদালত দু’টি পৃথক মামলায় ধর্মগুরু বাবা গুরমিত রাম রহিমকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। গুরমিতের এক আইনজীবী গতকাল জানান, সাজা কমানোর জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন রাখবেন তাঁরা। তবে সাজা ঘোষণা হওয়ার পরেই ধর্ষক বাবার অবস্থা শোচনীয়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাজা শোনার পরেই সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন ধর্ষক বাবা। রায় ঘোষণার পরেই আদালতের মধ্যে কান্নাকাটি করে একপ্রস্ত নাটক শুরু করেন তিনি। আদালত থেকে জোর করে জেলে নিয়ে গেলেও কান্না থামেনি রাম রহিমের। এই জেলেই ১০-১০ করে ২০ বছর কাটাতে হবে তাঁকে। আপাতত ধর্ষক বাবাকে জেলের একটি ছোট কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে অন্য কোনও বন্দি নেই।

দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপির তরফে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ‘‘এই রায় বুঝিয়ে দিল, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।’’

তবে রায় ঘোষণার পরেই সামনে এসেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাবার আশ্রমে যে কজন সাধ্বী ছিলেন, তাঁদের ৯০ শতাংশকেই ধর্ষণ করেছেন রাম রহিম। সিবিআই-এর এক আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত ৩০-৪০ জন সাধ্বীকে ধর্ষণ করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে খুন করে তাঁদের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ডেরা হেড কোয়ার্টারে অনেকের দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে বাবার শাগরেদরা। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি বাবা রাম রহিমের কেচ্ছা সামনে আনার উদ্যোগ নেন এবং খুন হন। ধর্ষক বাবার নির্দেশেই এই খুন হয়েছিল বলে নিহত সাংবাদিকের পরিবারের অভিযোগ। সেই মামলার নিষ্পত্তিও খুব দ্রুত হওয়ার কথা।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক