জেরুজালেমে দূতাবাস খুলছে কসোভো-সার্বিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে ইউরোপের দুই দেশ কসোভো এবং সার্বিয়া। দেশ দুটি বিতর্কিত জেরুজালেম শহরে নিজেদের দূতাবাস খুলছে। শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

ওয়াশিংটনে সার্বিয়া এবং কসোভোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই নেতানিয়াহু এমন কথা জানান। হোয়াইট হাউসের ওই বৈঠকে সার্বিয়া এবং কসোভো নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হলে ট্রাম্প সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রথম দেশ হিসেবে জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে কসোভো। সাম্প্রতিক সময়ে আমি যেমনটা বলেছিলাম— ইসরায়েলে শান্তির সার্কেল এবং স্বীকৃতি আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং আরও অনেক দেশ এ তালিকায় যুক্ত হবে বলে আশা করছি আমরা।’

এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি দেশ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের দূতাবাস খুলেছে। এর একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর গত বছর তার প্রশাসন তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তরিত করে। অপর দেশটি হলো গুয়েতেমালা।

তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই এর বিরোধীতা করে আসছে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা জেরুজালেম। ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে মেনে রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। কিন্তু ইসরায়েলে তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছে।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল জেরুজালেম দখল করে নেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় পূর্ব জেরুজালেমকে। আর ইসরায়েল গোটা জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া। দিন দিনি ইসরায়েলে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখলের পরিমাণ বাড়াচ্ছে।

সূত্রঃ জাগো নিউজ