ছাগল চুরিতে অভিযুক্ত সেই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

ছাগল চুরির মামলার আসামি মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুহিন দর্জিকে তাঁর পদ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেইন অনিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তুহিন দর্জি শহরের ইটেরপুল এলাকার জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দর্জির ছেলে।

অভিযোগ আছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কারে করে স্থানীয় লোকমান মালোতের গৃহপালিত একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তুহিন দর্জি ও তাঁর সহযোগীরা। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে তাঁরা সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। পরে টইল পুলিশকে জানালে পুলিশ চুরি হওয়া ছাগল বহন করা প্রাইভেট কারটির গতিরোধ করে। পরে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দর্জি এবং তাঁর চার সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা ব্যাপারী, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত ওই প্রাইভেট কার জব্দ ও ছাগল উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার এক দিন পর ছাত্রলীগ নেতা তুহিন ও তাঁর চার সহযোগীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপংক রোয়াজা  বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার এই ছাগল চুরির মামলার শুনানি ছিল। আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আমরা পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করি। কারণ, মামলার বাদী এজাহারে আরও ৫টি গৃহপালিত ছাগল একই কায়দায় চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই ছাগল চোর চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কি না, সেই বিষয় তদন্ত করতেই আমরা পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাই। কিন্তু আদালতে আসামির পক্ষের লোকজন মামলার বাদীকে হাজির করেন। সেখানে বাদী আসামির জামিন দেওয়া হলে তাঁর আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান। এ কারণে আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের জেলহাজতে বসেই জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।’

এসআই দিপংক রোয়াজা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দর্জির নামে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৭টি মামলা আছে। বর্তমানে আসামি তুহিন ও তাঁর সহযোগীরা কারাগারে আছেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেইন অনিক  বলেন, ‘ছাগল চুরির ঘটনাটি সারা দেশে সমালোচিত হয়েছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তুহিন গ্রেপ্তার হওয়ার দিনই আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তাঁর বহিষ্কার চেয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। চিঠি পাঠানোর ৬ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের একটি প্যাডে তুহিনকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।’

 

সুত্রঃ প্রথম আলো