চারঘাটে পদ্মায় বর্ষার শুরুতেই ভাঙছে পাড়, হুমকির মুখে কয়েকলাখ বসতি

মিজানুর রহমান, চারঘাট:


রাজশাহীর চারঘাটে বর্ষার শুরুতেই পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙছে পদ্মার তীরবর্তী পাড়। ধসে পড়ছে চাপ চাপ মাটি। এতে হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় ৩৬ বছর আগের পুরোনো মসজিদসহ বেশ কয়েকটি পাড়া মহল্লা।

এমন ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে চারঘাট সদর ইউনিয়নের রাওথা এলাকায়। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাপাড়ের লক্ষাধিক মানুষ। বছরের পর বছর ধরে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন প্রতিরোধে নেয়া হয়নি কার্য্যকর ব্যবস্থা। ফলে নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রাওথা এলাকার কয়েক লাখ বসতি।

রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ির আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কোথায়!


সরেজমিন বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙন কবলিত রাওথা এলাকা গেলে স্থানীয় গ্রামবাসি জানান, এক সময় যে মাঠে ফসল চাষ করা হতো। আজ সেই মাঠ জুড়ে অথৈই পানি। সব ভেঙ্গে আজ নদীর বুকে চলে গেছে। এক ছটাক আবাদি জমিও নেই। ঘর বাড়ী ভাঙতে ভাঙতে আজ নি:শ্বেষ হয়ে গেছে রাওথা এলাকার পদ্মা পাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। নদীর বুকে চলে গেছে ঘর-বাড়ীসহ ফসলী জমি। এখন হুমকির মুখে রয়েছে গ্রামটি। যে কোন সময় তলিয়ে যেতে পারে গ্রামটি। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকেই হয়ত বিলিন হতে পারে গ্রামটির নাম।

রাওথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জিয়াউর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বন্যার সময় হলেই এলাকায় দেখা মেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনদের। এর আগে তারা কোন দিনই আসেন না ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে। বছরের পর বছর ধরে ভয়াল পদ্মায় রাওথা এলাকার মানুষ সব কিছু হারিয়ে আজ বড়ই অসহায়। মাথা গোজার ঠাই ছাড়া ফসলী জমি সব কিছুই আজ নদী গর্ভে। গত কয়েক দিন ধরে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙতে শুরু করেছে পদ্মার পাড়। এভাবে আরো কয়েকটি দিন ভাঙন অব্যাহত থাকলে বিলিন হতে পারে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেসে যেতে পারে গ্রামটির কয়েক লাখ বসতির বসত ভিটা।

নদীর তীর ঘেষা হুমকির মুখে থাকা ৩৬ বছরের পুরোনো রাওথা মসজিদ কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই এখানে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙতে ভাঙতে আজ একিবারেই দুয়ারে দাড়িয়েছে ভাঙন। গত কয়েকদিনের ভাঙনে চরম আতঙ্কিত রয়েছেন এলাকাবাসী। এভাবে ভাঙতে থাকলে মসজিদটিহ গ্রামটি প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছেন বলে জানান তিনি। তাই দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন রাওথা এলাকার সর্বস্তরের জনতা।

বিষয়টি সম্পর্কে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিনুর আলম বলেন, রাওথা এলাকায় উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে। যেখানে নদীর পাড় ভাঙছে সেখানে নকশার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ

আরো পড়ুন…

করোনা রোগীদের সেবায় চারঘাটের চিকিৎসক আতিক, ঈদও কাটিয়েছেন হাসপাতালে