চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সিএইচসিপি’র অবস্থান ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রাজশাহীতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) অ্যাসোসিয়েশন। আজ মঙ্গলবার  সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন,  বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন লিটন।

তিনি বলেন, জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রধান মাধ্যম কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মচারী কাজ করছে। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অত্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করার স্বত্বেও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। যার কারণে প্রায় ১৪ হাজার পরিবারের কাছে ইনক্রিমেন্ট, বিনোদন ও প্রশান্তি ভাতাসহ সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বচ্ছলভাবে দিন কাটানো যাচ্ছে না। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি সেবা গ্রহণকারী কমিউনিটি সেবায় প্রকাশ করলেও সরকারীকরণ না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ৪৬৬৮ স্মারকে তাদের অবহিত করা হয়েছিলো, যে অতিদ্রুত চাকরি জাতীয়করণ করা হবে এবং ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার জন্য গোপনীয় প্রতিবেদন খোলার চিঠি দেয়। কিন্তু এ দুটি চিঠি দেওয়ার পরেও তাদের চাকরি রাজস্বকরণ হয়নি। একমাত্র সিএইচসিপি চাকরি রাজস্বকরণের মাধ্যমে সফলতার চাকা ঘুরানো না হলে কমিউনিটি ক্লিনিক কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফেরদৌস হোসেন, সোহেল রানা, শিফাত আহম্মেদ খান, মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মহানগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিভাগের সব কমিউনিটি ক্লিনিক চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় ১৫ জানুয়ারি রাজশাহীর সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ এবং ১৬ জানুয়ারি স্ব-স্ব সিভিল সার্জন অফিসের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

 

এদিকে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মেনে না নিলে ঢাকায় আমরণ অনশন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও কর্মসূচিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

স/অ