চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শিল্পী টয়েলের ভাস্কর্য

কামাল হোসেন, ভ্রামম্যাণ প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে খানিকটা দূর দূলর্ভপুর ইউনিয়নের পারকালুপুর গ্রামে জন্ম এইচএম মেহেদী হাসান টয়েলের। তার পিতার নাম আবদুল খালেক সেন্টু। তারা চার ভাই বোনের মধ্যে টয়েল সবার বড়। শত ইচ্ছে থাকলেও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেনি টয়েল।

টয়েল জানান, পারকালুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষে বার রশিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে। পরবর্তীতে ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পাশ করে। কিন্তু অর্থনীতিক অভাবে আর লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি।

তিনি ২০০২ সালে নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন রংয়ের কাজ করতেন। এসময় তিনি ঘুরতে যায় বগুড়ার কারিপল্লী নামক এক এলাকায়। সেখানে কয়েকটি ভাস্কর্য দেখে তার মনে উৎসাহ জাগে। তারপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একজন শিক্ষকের কাছে অল্প কয়েকদিন প্রশিক্ষণ নেন।

এরপর শিবগঞ্জ উপজেলার দাদনচক এলাকায় একটি পার্কে প্রথমে তিনি বকের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে কাজ শুরু করেন সোনামসজিদ এলাকার একটি পার্কে। সেখানে তিনি সাড়ে চার মাস করে নির্মাণ করেন ২৩টি ভাস্কর্য। যার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের মানচিত্র গ্লোবস, কুমির, পরী, দৈত, ঝরণা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্য, পিনগুইন পাখি, অজাগর সাপ, হাঁস, ব্যাঙ, হাওড় মাছ, বানর, হরিণ, বাঘ, সিংহসহ নানান রকমের ভাস্কর্য।

সেখানে তার কাজে মুগ্ধ হয়ে বর্তমানে শিবগঞ্জের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুড প্যারাডাইস এন্ড বিরিয়ানি হাউসে বিভিন্ন পশু-পাখি, শিশুদের খেলাধূলার নানান সরঞ্জামাদী ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের ভাস্কর্য তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

তিনি জানান, চাহিদামত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খালেদা জিয়াসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভাস্কর্য তৈরিতে তার পারদর্শীতা রয়েছে।

 

স/আ