গাজীপুর ও খুলনায় সন্ত্রাসী লক্ষণ স্পষ্ট: মির্জা ফখরুল

সিল্কসিটিনি্উজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অতীতের মতোই সন্ত্রাসী লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গাজীপুরে ধানের শীষের প্রার্থীর ব্যাপক বিজয় টের পেয়েই সরকারের মদদে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্মের শিকার হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীতা প্রত্যাহারকারী ও ধানের শীষের প্রার্থীকে সমর্থনকারী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে বিনা উস্কানিতে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এই অন্যায় জুলূমের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, আগামী ১৫ মে গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলেও প্রশাসনের দমন নীতির কারণে নির্বাচনী এলাকায় একধরণের ভীতি এবং অজানা আশঙ্কা বিরাজ করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের অধীনে যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই তারা অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানীতে সহিংসতার প্রতাপ বিস্তার করেছে।

ভোটের পূর্বের রাতে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান এবং বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করাসহ জনগণকে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার ঘটনা আওয়ামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

মির্জা ফখরুল বলেন, গাজীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশেই ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা জুলুম ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছে। জামায়াত নেতা এস এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের এই ঘটনা নি:সন্দেহে আগামী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ। আমি এই ন্যাক্কারজনক গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গাজীপুরসহ খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।