ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দখলে পদ্মাপাড়: দর্শনার্থীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা পাড়। প্রতিদিন স্বপরিবারে কিংবা স্ববান্ধবে অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন একটু বিনোদনের জন্য। রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা মানুষগুলোও সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন পদ্মা পাড়ের বাতাসে নিজেকে একটু আন্দোলিত করতে। সকাল থেকে রাত পদ্মা পাড়ের বৈচিত্র ও সৌন্দর্য বিমোহিত করে সকলকেই। কিন্তু পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন স্থান এখন দখলে নিচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদ্মাপাড়ে বেড়াতে আসা অসংখ্য দর্শনার্থীরা। দখল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলো উদ্ধার করে দর্শনার্থীদের সুস্থ বিনোদন উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা।

সরেজমিনে নগরীর পদ্মাপাড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের দাড়ানোর জায়গা দখল করে একাধিক চটপটি, ফুচকা ও ফল বিক্রেতাদের দোকান বসানো রয়েছে। দর্শনার্থীদের জিম্মি করে তাদের ছড়িয়ে রাখা চেয়ারে বসতে বাধ্য করছেন দোকানীরা। দোকানীদের ছড়িয়ে রাখা চেয়ারগুলোর কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের দাড়ানোর মতো কোন স্থান নেই। রাজশাহীর শহর রক্ষা টি বাধে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসেন শুক্রবারের দিনটিতে। সরকারী ছুটির দিন হওয়ার কারণে অনেকেই পরিবার নিয়ে আসেন। কিন্তু দোকানীদের ছড়িয়ে রাখা চেয়ারগুলো বাধা হয়ে যায় সুষ্ঠ বিনোদনে।

রোববার নগরীর টি বাধে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন,পদ্মাপাড়ে মানুষ আসে বাড়তি বিনোদনের জন্য। কিন্তু এখন এখানে যে অবস্থা তাতে বেশিক্ষণ সময় পার করা দুস্কর হয়ে গেছে। এখানকার দোকানীরা এমনভাবে জায়গাগুলো দখল করে রেখেছে যে দাড়ানোর মতো জায়গা নেই।


আরেক দর্শনার্থী এমদাদুল হক বলেন, পরিবার নিয়ে পদ্মা পাড়ে যাওয়া এখন দায় হয়ে গেছে। এখানে মানুষের চেয়ে খাবারের দোকান বেশি হয়ে গেছে। তাদের চেয়ারে ভূল ক্রমেও কেউ বসে গেলে আর তাদের খাবার না খেলে অপমান করে উঠিয়ে দেয়। প্রশাসনের লোকজন কি এখানে আসেনা? এগুলোর তদারকি করা দরকার।


শুধু টি বাধই নয়। লাল শাহ মুক্তমঞ্চ, পদ্মা গার্ডেনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান চলে গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দখলে। দর্শনার্থীদের বসার স্থান গুলোতে দোকান বসিয়ে দখল করা হচ্ছে পদ্মাপাড়। এতে করে গুরুত্ব হারাচ্ছে প্রধান এই বিনোদন কেন্দ্রটি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবৈধ দখলে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন রাজশাহীর বিনোদন প্রেমীরা। এসব ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভ্রমন পিপাসুরা।

স/শ