ক্যাম্পাসে ঢোকার ঘোষণা ছাত্রদলের, বাধ্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা; বললেন ঢাবি প্রক্টর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ছাত্রলীগ। তবে কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাস ছাড়া হওয়ার পর একই ধরনের কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদলও।

এতে ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে চাপা আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তবে পরীক্ষা বিঘ্নিত হয় বা পরীক্ষা নিয়ে এমন কোনও আতঙ্ক না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দিন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ক্যাম্পাস ছাড়া ছাত্রদল। গত ৩০ মে টিএসসিতে ছাত্রদলের এক কর্মী আসলে তাকে মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আবারও ক্যাম্পাসে আসার ছক কষছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনটি।

তবে ছাত্রলীগ বলছে, কেউ ভর্তি পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটালে তা প্রতিহত করা হবে। এমনকি ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করা হলে’ ছাত্রদলকে ‘চন্ডী রুপ দর্শন’ করানোর কথাও বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

বৃহস্পতিবার মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস, এখানে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরীক্ষা যে সুন্দর পরিবেশ আছে, তা যদি বিঘ্নিত না হয়, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অবশ্যই তা প্রতিহত করবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তবে ছাত্রদলের আকতার হোসেন তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ছাত্রদল তাদের অতীতের ধারাবাহিকতায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কিন্তু ছাত্রলীগ নয়। প্রশাসন যদি মনে করে আমাদের কর্মকাণ্ড নেতিবাচক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী, তারা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রলীগকে তো এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

দুই সংগঠনের এমন অবস্থানে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে কী ভাবছেন- এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, কোন সংগঠন কী ভাবল এটা তো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভর্তিপরীক্ষা তো জাতীয় ব্যাপার। বরাবরই এটি দায়িত্বশীলতা ও উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের মেধাবীদের একটি বড় অংশ জড়িত থাকে। তারা অনেক স্বপ্ন, আশা নিয়ে পরীক্ষা দেবে। তাই সকল মহলের কাছে সহযোগিতা আশা করছি।

তিনি বলেন, পরীক্ষা বিঘ্নিত হয় বা পরীক্ষা নিয়ে এমন কোনও আতঙ্ক না ছড়াতে সবাইকে অনুরোধ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় পরীক্ষার হলের কাছে নিয়োজিত থাকে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু করার চিন্তা করে, আমি পরামর্শ দিব, এ ধরনের চিন্তা থেকে যাতে দূরে থাকে। যদি কেউ বাধ্য করে তাহলে আইনি প্রক্রিয়ায় যা করার আমরা সেটা করতে প্রস্তুত থাকব।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন