মঙ্গলবার , ২২ ডিসেম্বর ২০২০ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কোনোমতে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান

Paris
ডিসেম্বর ২২, ২০২০ ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

শেষ ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়াল সফরকারী পাকিস্তান। ওপেনার মোহম্মদ রিজওয়ানের ৮৯ রানের সুবাদে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে তারা ৪ উইকেটে হারিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৯ উইকেটে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে মীমাংসা হলো। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে হেরেছিল পাকিস্তান। তাই এবার টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেয় সফরকারীরা।ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও টিম সেইফার্টের। তবে দলীয় ৪০ থেকে ৫৮ রানে পৌঁছাতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। ১৯ রান করা গাপটিলকে শিকার করেন পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ। ২০ বলে ২টি চার-৩টি ছক্কায় ৩৫ রান সেইফার্ট ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ১ রানে বিদায় দেন ডান-হাতি পেসার ফাহিম আশরাফ।

এরপর চতুর্থ উইকেটে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে ভাল অবস্থায় নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস। ২০ বলে ৪টি চারে ৩১ রান করে ফিরেন ফিলিপস। তবে ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহই এনে দেন কনওয়ে। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রউফের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির তুলে নেন কনওয়ে। তিনি ৪৫ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৩ রান করেন। শেষ দিকে স্কট কুগিলিজেন ৬ বলে ঝড়ো ১৪ রান করেন। পাকিস্তানের ফাহিম ৩টি, রউফ-আফ্রিদি ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ৪০ রানের সূচনা ছিল পাকিস্তানেরও। ওপেনার হায়দার আলিকে ১১ রানে থামান পেসার কুগিলিজেন।আগের ম্যাচে চার নম্বরে নেমে ৯৯ রান করা মোহাম্মদ হাফিজ আজ তিন নম্বরে নেমে আরেক ওপেনার রিজওয়ানের সাথে জুটি বাঁধেন। রানের গতি ধরে রেখে ১৩তম ওভারেই দলের স্কোর শতরানে পৌঁছে দেন রিজওয়ান ও হাফিজ। একই ওভারে নিজের মোকাবেলা করা ৪০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান। পরের ওভারে হাফিজকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন কুগিলিজেন। জুটিতে আসে ৫১ বলে ৭২ রান। ২৯ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪১ রান করেন হাফিজ।

হাফিজ যখন বিদায় নেন তখন আস্কিং রেট ওভার প্রতি ১০এর বেশি। পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩৯ বলে ৬২ রান। শেষ দুই ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১১ রানের। সময় রিজওয়ানের সঙ্গী ছিলেন খুশদিল শাহ ও ফাহিম। খুশদিল ১৩ রানে বিদায় নেন। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ফাহিম ও অধিনায়ক শাদাবকে শিকার করে ম্যাচে উত্তেজনা তৈরি করেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। তবে ওই ওভারের শেষ তিন বলে ৭ রান নিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের কাছে নিয়ে যান সাত নম্বরে নাা ইফতেখার আহমেদ। শেষ ওভারে ৪ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের।

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে পাকিস্তানের জয়ের প্রধান নায়ক রিজওয়ানকে বিদায় দেন নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন। ৫৯ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৯ রান করেন ম্যাচ সেরা রিজওয়ান। আর চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন ইফতেখার। ৭ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ইফতেখার অপরাজিত ১৪ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের সাউদি ও কুগিলিজেন ২টি করে উইকেট নেন। সিরিজ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সেইফার্ট।

সূত্র: কালের কন্ঠ

সর্বশেষ - খেলা