কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচারের দাবি রাবি শিক্ষকদের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। এছাড়াও হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তার দাবি জানান তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২৩ নম্বর কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, ‘ গত মার্চ থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। তখন থেকে আমরা লক্ষ্য করেছি, এ আন্দোলনে দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। তাদের এই আন্দোলন শুরু থেকে অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ ছিল। এতে কোনো প্রকার অরাজকতা সৃষ্টি হয়নি। তারা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ের করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতেই পারে। এটাও তাদের এক প্রকার গণতান্ত্রিক অধিকার।’

এসময় লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশ ও ছাত্রলীগের আগ্রাসী আচরণ এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে, আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মামলা-হামলার ভয়ে তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার যেন হারিয়ে ফেলেছে। অথচ কোনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। বরং নীরবতা দেখতে পেয়েছি। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার, মামলা ও রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছে।’ এসময় এসব হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচারের দাবি জানানো ওই ১৪ শিক্ষক হলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাতিল সিরাজ, মাহাবুবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, প্রভাষক আব্দুল্লাহীল বাকী, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া, সহকারী অধ্যাপক শুসমিন আফসানা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা ও বাংলা বিভাগের ড. সৌভিক রেজা।

স/শা