করোনা মুক্ত রাজশাহী নগরীতে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের ঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীর বাজারগুলোতে বেড়েছে সাধারন মানুষের উপচেপড়া ভিড়। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। ফলে করোনা মুক্ত রাজশাহী নগরীতে বেড়েছে এখন করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি।

ঈদকে ঘিরে খুলছে দোকানাপাট খোলায় কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের আগমন শুরু হয়েছে। বেলা বাড়তে থাকলে ক্রেতা সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে রাজশাহীর বাজার গুলোতে।

দেখা গেছে, বাজারে ঈদের কেনা-কাটায় ভীর বেড়েছে। তবে অনেকটাই গাদাগাদি অবস্থায় কেনা-কাটা চলছে। বাজার করতে এসে নিরাপদ দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। কেউ কেউ হাতে গ্লাভস না পরে শুধু মুখে মাস্ক পরে এসেছেন। অনেকের আবার মুখে মাস্কও নেই। তারা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন।

যদিও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি পরিস্থিতির কারণে ঠিকমতো দূরত্ব রক্ষার নিয়ম মানছেন না তারা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা করছেন। তবে ক্রেতাদের দুরত্ব বজায় রাখতে বললেও আনেক ক্ষেত্রে  তারা শুনছে না।

এদিকে, যতই দিন যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তবে উল্টোদিকো ততোই বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় করোনা আগের তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছেন আরও আটজন রোগী। এ নিয়ে বিভাগে এখন করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৯ জনে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাজশাহী বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায়।

এরপর বুধবার (১৩ মে) পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় মোট ২৬৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪০ জন। আর করোনায় আক্রান্তের পর মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছেন ২৩৯ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, বিভাগে এখন ৯৩ জন হাসপাতালে আছেন। বাকিরা আছেন বাড়িতে। অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হলেও উপসর্গ নেই। তারা ভালো আছেন। আর যারা কিছুটা অসুস্থ তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সার্বক্ষণিক তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহী জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী রয়েছেন। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ছয়জন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। এ জেলায় এখনও কেউ সুস্থ হননি। মারাও যাননি কেউ। পাশের নওগাঁ জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। নাটোরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩ জন। এ জেলায় এখনও কেউ সুস্থ হতে পারেননি। মারা গেছেন একজন। জয়পুরহাট জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এটিই বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত। তবে এ জেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। কেউ মারা যাননি। হাসপাতালে আছেন ৭০ জন। বগুড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে আছেন ১৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন। সিরাজগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে কম ৬ জন। সবাই হোম আইসোলেশনে আছেন। এখানে সুস্থও হননি কেউ। মারাও যাননি। পাবনায় আছেন ১৬ জন। এরমধ্যে একজন সুস্থ হয়েছেন।

তবে রাজশাহী জেলায় ১৭ জন করোনা পজিটিভ হলেও মহানগর এলাকা এখনও করোনা মুক্ত। তবে ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীর বাজারগুলোতে উপচেপড়া ভিড় আর আসচেতন ভাবে মানুষের চলাফেরা বাড়িয়ে দিয়েছে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি।

স/অ

 

করোনামুক্ত রাজশাহী নগরী, ঈদ ঘিরে খুলছে দোকানপাট, বাড়ছে আতঙ্ক