করোনা ভয়াবহ হচ্ছে রংপুরে

রংপুর মেডিক্যাল কলেজে নমুনা পরীক্ষায় আরও ২০ জন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে র‍্যাবের ১২ জন সদস্য আছেন।

এ নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৮৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৫ জনে পৌঁছেছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব সদস্যরা ছাড়াও রংপুর নগরীর নিউ সেনপাড়ার একজন নারী (৪৫), একজন পুরুষ (৫২), মিঠাপুকুরের লতিবপুর ইউনিয়নের একজন পুরুষ (৪০), গাইবান্ধা সাদুল্যাপুরের এক যুবক (২২), অপর আরেক যুবক (২৬), এক নারী (২২), গাইবান্ধা সদরের শাপলা মিলের একজন পুরুষ (৪২) এবং লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কর্মরত একজন পুরুষ (৪৮) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুই দফায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে এই ২০ জন শনাক্ত হয়েছেন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় হোম  কোয়ারেন্টিনে পাঠানো রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৬৫২ জন। এদের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৫২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৩০৩ জনকে। এর মধ্যে রংপুরে ৩৫, পঞ্চগড়ে ২০, নীলফামারীতে ৬৮, লালমনিরহাটে ১২, কুড়িগ্রামে ৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩, দিনাজপুরে ৯২ এবং গাইবান্ধায় ৬২ জন রয়েছেন। এছাড়াও রংপুর বিভাগের আট জেলায় কভিড ১৯-এ আক্রান্ত ৮৩৮ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ৩৫৬ জন, পঞ্চগড়ে ৫৫ জন, নীলফামারীতে ৯৪, লালমনিরহাটে ৩৩, কুড়িগ্রামে ৬০, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৩, দিনাজপুরে ১৪৭ এবং গাইবান্ধায় ৩০ জন। ছাড়পত্র  দেওয়া হয়েছে ২৪৮ জনকে।

কভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীর শীর্ষে রয়েছে রংপুর। এখানে ৩৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশ ৫৬ জন, র‍্যাব ১৮ জন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ৩৮ জন , নার্স ও কর্মচারী ২৬ জন, হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার ও ভিডিপির সদস্য ২২ জন। এছাড়াও রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ পুলিশের এসপি মেনহাজুল ইসলামসহ তার পরিবারের সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভাগে এখন পর্যন্ত ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে রংপুরে পাঁচজন, পঞ্চগড়ে একজন, নীলফামারীতে দুইজন, দিনাজপুরে একজন এবং গাইবান্ধায় তিনজন রয়েছেন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ জানান, কভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য রংপুরে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এখানে ২০০ রোগীকে সর্বাধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সেখানে ৩৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ