করোনায় রাজশাহীর মার্কেট- কে শোনে কার কথা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:


জমতে আর বাকি নেই, ঈদ বাজার। রাজশাহীর বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। যে যার মতো গাদাগাদি করে কেনা-কাটা করছেন দোকানগুলোতে। এনিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের সতর্কতা দেখা যায়নি। এছাড়া মার্কেটের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও স্প্রে কোন ব্যবস্থা নেই।


সরেজনিমেন দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকেই যথাযথ মাস্ক পরছে না। মানছেন না সামাজিক দূরুত্ব। মার্কেটের গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী থাকার কথা থাকলেও ছিলো না কেউ।

 


যদিও গত ২৯ এপ্রিল রাজশাহী পুলিশ কমিশনারের দফতরে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায়- আরএমপি পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেছিলেন- কেনাকাটার ক্ষেত্রে দোকানদার এবং ক্রেতা উভয়কে অবশ্যই মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে হবে। মার্কেটের প্রবেশদারে স্বেচ্ছাসেবক রেখে স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা আসলে তাকে মাস্ক প্রদান করতে হবে। প্রত্যেক দোকান মালিককে নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি অনুসরণ করতে হবে।

আবু কালাম সিদ্দিক আরও বলেন- করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানপাট এবং শপিংমলসহ সব ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

অন্যদিকে, পুরো মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। দোকান কিংবা বাজারে নেই কোন স্বেচ্ছাসেবী। বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গাদাগাদি করে জিনিসপত্র কিনতে দেখা গেছে। শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটসহ অন্য বাজারগুলোর এমন চিত্র দেখা গেছে।



রেশমী ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান, মার্কেটের পরিস্থিতি বলছে- কে শোনে কার কথা। অনেকটাই হযবরল অবস্থা। আজ ছুটির দিন, ফাঁকা ফাঁকা থাকবে বলে বাজারে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি গাদাগাদি। যখন চলেই এসেছি, কষ্ট করে হলেও কেনাকাটা শেষ করতে চাই।

অন্যদিকে, কাপড়পট্টি-স্যান্ডেলপট্টির দোকানগুলোতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। এসময় ক্রেতাদের মুখে মাস্কও দেখা গেছে। বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে দূরুত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি বলা হচ্ছে না। এমন অবস্থায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন সবাই।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখাপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান- বাজার কমিটির নেতাদের বলা হয়েছে। তারা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়গুলো দেখবে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বাজার কমিটির নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান স্বজন বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে শুনেছি, দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আজ দুপুর দুইটার পরে মার্কেটের দোকানদারদের সাথে বসবো। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে প্রশাসন যদি আপানাদের দোকান বন্ধ বা জরিমানা করে, তাহলে আমারাদের কিছু করার থকবে না।

স/আ