রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন :

এমপি প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন ভাঙ্গলো ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ইসরাফিলের

আমানুল হক আমান, বাঘা :
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে এমপি প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ইসরাফিল বিশ্বাসের। ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সঠিক না হওয়ায় ৩ ডিসেম্বর জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। মনোনয়নপত্র চুড়ান্ত করার জন্য তিনি আপিল করেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পূনরায় যাছাই-বাছাই শেষে আবারও প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। অবশেষে প্রার্থীতা ফিরে না পেয়ে তার স্বপ্ন ভেঙ্গ গেলো বলে জানান ইসরাফিল বিশ্বাস।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শাহরিয়ার আলম, জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন রিন্টু, জাকের পার্টির রিপন আলী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)’র আবদুস সামাদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক রায়হান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) জুলফিকার মান্নান জামী, এনপিপি প্রার্থী মহসিন আলী।

জানা যায়, ইসরাফিল বিশ্বাস ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেবারও ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সঠিক না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া তিনি ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবং ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। ২০২২ সালে বাঘা পৌর মেয়র পদে নির্বাচন করেন। তিনি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

২৭ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ইসরাফিল বিশ্বাস। সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌর নির্বাচন থেকে শুরু করে সব নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তিনি কোন নির্বাচনে জামানত ফেরত পায়নি। ইসরাফিল বিশ্বাস রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার বলিহার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় টিউবওয়েল মিস্ত্রীর পাশাপাশি ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে ইসরাফিল বিশ্বাস বলেন, আমি সঠিকভাবে ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সঠিক করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। তারপরও বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র চুড়ান্ত করার জন্য আপিল করেও আবারও বাতিল হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা সহকারি রিটারিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিধি অনুযায়ী ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর জমা না দিলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্যাটাগরিতে পড়ায় তার প্রার্থীতা আর ফেরত পাননি। #