এমপিওভুক্ত না হওয়ায় হতাশায় শিক্ষকের আত্মহত্যা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এমপিওভুক্ত না হওয়ায় হতাশায় মোস্তফা কামাল (৪৫) নামে এক স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মোস্তফা কামাল ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ছিলেন। তিনি ভাঙ্গুড়ার টলটলিয়াপাড়ার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। মোস্তফা কামাল দুই মেয়ের জনক।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বুধবার (২৪ জুন) রাতের কোনো এক সময় ঘরের বারান্দায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন শিক্ষক মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার পরিবারের লোকজন তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত শিক্ষকের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ওই শিক্ষক মানসিক অবসাদ ও হতাশায় ভুগছিলেন। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মমতাজ মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানান, ২০০৩ তাদের স্কুলটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই মোস্তফা কামাল এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মাঝে কিছু দিনের জন্য এখান থেকে অন্য স্কুলে চলে যান। সেখানেও এমপিওভুক্ত হতে না পেরে ২০১২ সালে আবার এ স্কুলে ফিরে আসেন। বিগত কয়েক বছরে তাদের নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলটি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়।

এছাড়া ২০১৯ সালের শেষের দিকে মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলটির নিম্ন মাধ্যমিক শাখার শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু কাগজপত্রের কিছু কমতি থাকায় মোস্তফা কামাল বাদ পড়ে যান। তবে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ সাপেক্ষ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে এমপিওর আবেদন পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।

প্রধান শিক্ষক বলেন, মোস্তফা কামাল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি-না তা তার পরিবারের লোকজন ভালো বলতে পারবেন।