একটু বয়স বাড়লেই মানুষ যা খুশি তাই বলে : দিয়া মির্জা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

বলিউডে লাস্যময়ী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম দিয়া মির্জা। ২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিক খেতার জেতার পর বলিউডে পা রাখেন দিয়া মির্জা। ‘রেহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় অভিনেত্রীর। তারপর বেশ কিছু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন দিয়া।

সম্প্রতি জশন-ই-রেখতায় যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন দিয়া মির্জা। জশন-ই-রেখতা হল বিশ্বের বৃহত্তম উর্দু ভাষার সাহিত্য উৎসব। এটি তিনদিনের একটি আয়োজন যা নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দিয়া মির্জা। কথোপকথনের এক পর্যায়ে অভিনেত্রী বলেন, তিনি ৪০ বছর বয়সে তার ক্যারিয়ারের সেরা ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য ডাক পাচ্ছেন, এটি তার জন্য অনেক গর্বের বিষয়।

অভিনেত্রী বলেন, “৪০ বছর বয়সে ‘থাপ্পাড়’ চলচ্চিত্রের অফার পেয়েছি। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। যদি ২৩ বছরের দিয়াকে আপনারা বলতেন যে তার সবচেয়ে ভালো কাজ ৪০ বছর বয়সে পাবে, তাহলে সে তখন বিশ্বাস করতো না। এটি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো কাজের একটি। এটা সত্যি যে বয়সবাদ শুধু হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, আমাদের সমাজেও প্রচলিত। আপনার বয়স একটু বাড়তে শুরু করলেই মানুষ যা খুশি তাই বলতে শুরু করে। এটি এমন বিষয় যা আমরা সবাই পরিবর্তন করতে চাই। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি এবং আশা করি আমরা এই মতবাদটি পরিবর্তন করতে পারব। ’

উর্দু কবিতা উৎসবে অভিনেত্রী তার জীবনে কবিতার প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি সবসময় আমার কাছে কিছু কবিতা রাখি। কখনো কখনো এমন হয় যে আমি কোনো ভূমিকায় অভিনয় করছি, আমি সেই চরিত্রটি বুঝতে তার সাথে কবিতার একটি সংযোগ খুঁজি। উদাহরণস্বরূপ, ‘কাফির’-এ আমার অভিনীত সেই চরিত্রটির সারমর্ম পেতে আমি কাইফি আজমির কবিতা আওরাতের কথা উল্লেখ করেছি। ”

স্বামী বৈভব রেখীকে একজন কবিতাপ্রেমী উল্লেখ করে দিয়া বলেন, “বৈভবের কবিতার সাথে খুব ভালো বোঝাপড়া আছে। সে বাইরের সফর থেকে ফিরে আসার সময় একটি নাজম লিখে নিয়ে আসে। আমি সেই সব কার্ড সংগ্রহ করে রাখি। ”

বয়স কোনো বিষয় নয় উল্লেখ করে দিয়া বলেন, “আমার মা আমাকে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত বৃদ্ধির চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। বয়সটা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনারা টাবুকেই দেখুন। এ বছর দুটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছে সে। ”

ছেলের নাম আজাদ কেন রাখা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে দিয়া বলেন, “দুই বছর আগে হাতে ‘আজাদ’ ট্যাটু করিয়েছিলাম। আমার অন্য কোন ট্যাটু নেই। আমি এই ট্যাটুটি করেছি কারণ আমি এমন কিছু আবিষ্কার করেছিলাম যা একজন নারী হিসেবে আবিষ্কার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটি হল ভয়ের সাথে বন্ধুত্ব করার ক্ষমতা। আমার কাছে আজাদি হলো ভয় থেকে মুক্তি। সব শিশুই ভয়মুক্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে। তাই আমার ছেলের নাম আজাদ। আর আমি দোয়া করি সে যেন সারাজীবন ভয়মুক্ত থাকে। ”

সূত্র: কালের কণ্ঠ